বুথ থেকেই রাজ্যপালকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর, পরে বলেন ‘আদালতে যাব’

বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন বেলা বাড়তেই আর ঘরে বসে থাকলেন না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইল চেয়ারেই তিনি বেরোলেন বুথ পরিদর্শনে। কিন্তু নন্দীগ্রামের বয়ালে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রী। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। গোটা ঘটনা জানিয়ে ঘটনাস্থল থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য তিনি রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ করেন। অপরদিকে জানা যাচ্ছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা হাজির হন বয়াল প্রাথমিক স্কুলের বুথে। তাঁকে ঘিরে তুমুল জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি, পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলও। 

 

চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বুথ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। তিনি রাজ্যপালকে জানান, নন্দীগ্রামে প্রচুর বহিরাগত ঢুকে পড়েছে। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনীও বিজেপির হয়েই কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলনেত্রী। বয়াল প্রাথমিক স্কুলের বুথে বসেই রাজ্যপালকে ফোন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে পরে তিনি বলেন, মোট ৬৩টি অভিযোগ পেয়েছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা আদালতে যাব। পাশাপাশি তৃণমূলনেত্রী আরও দাবি করেছেন, বিজেপি অবাধে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। যদিও মমতার অভিযোগ উড়িয়ে দেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, হেরে যাবেন বুঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন মমতা। নির্বাচন কমিশনকে ভরসা করা উচিত। সুষ্ঠ ভাবে ভোট করানোই কমিশনের দায়িত্ব।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post