‘আপানারা যাই করুন, বিজেপি ভোটে জিতবে না। তৃণমূল নন্দীগ্রামে ৯০ শতাংশ ভোট পাবে’। বললেন আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছিল তাঁর কাছে। বহু বুথে তৃণমূল এজেন্টই বসাতে পারেনি বলে দাবি করেন তিনি। যদিও বিরোধী প্রার্থী শুভেন্দুর হিসেবে সংখ্যাটা ৮০-র বেশি। ভোটারদের ভয় দেখানো, পরিচয়পত্র থাকা সত্বেও ভোট দিতে বাঁধা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ভুরিভুরি অভিযোগ আসতেই আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নন্দীগ্রামের ভাড়া বাড়িতে সকাল থেকেই বসে ভোটের খবরাখবর নিচ্ছিলেন। কিন্তু বেলা একটার কিছু পর বেরিয়ে আসেন ঘর ছেড়ে। হুইল চেয়ারেই ঘুরলেন কয়েকটা বুথ। কিন্তু গোল বাধে নন্দীগ্রামের বয়ালে এসে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী একটি বুথে ঢুকতেই তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার মহিলারা। বিজেপি সমর্থকরাও জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলও। পরিস্থিতি দ্রুতই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিশাল পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান পৌঁছে যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে। তবুও প্রায় ঘন্টা দুয়েক ওই বুথেই আটকে থাকেন তৃণমূল নেত্রী। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তাঁকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই বুথ থেকে বের করে আনেন। এরপরই উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি একরাশ অভিযোগ করেন। মমতার দাবি, ‘এখানে ভোটটা চিটিংবাজি হয়েছে। বয়ালে ওরা চূড়ান্ত (বিজেপি) অত্যাচার করেছে। আমি পুলিশকে বারবার বলেছি। পুলিশ যখন এসেছে, তখন কিছু হয়নি। যেই পুলিশ চলে গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে যে কে সেই অবস্থা’। এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘বিএসএফ, সিআরপিএফের মতো বাহিনী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারা নির্দেশিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের নির্দেশ দিচ্ছেন। বিজেপি-র পক্ষে ভোট করাতে বলা হচ্ছে। বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে’। মমতার দাবি, শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম নিয়েই কমিশনে ৬৩টি অভিযোগ জমা করেছে তৃণমূল।
মমতার কথায়, বুধবার রাত থেকে এলাকায় গুন্ডামি করছেন বিজেপি প্রার্থী। সেই সোম-মঙ্গলবার থেকে বিজেপি টানা অত্যাচার করছে, সেখ সুফিয়ান-সহ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এত অভিযোগের পরও কিন্তু জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, আমি নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই। চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে। নন্দীগ্রামে আমি জিতবই, মা মাটি মানুষের আশীর্বাদে। মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। আপানারা যাই করুন, বিজেপি ভোটে জিতবে না। তৃণমূল নন্দীগ্রামে ৯০ শতাংশ ভোট পাবে। যদিও এর উত্তরে বিরোধী প্রার্থী শুভেন্দুর কটাক্ষ, একটা প্রার্থী সকাল থেকে বের হয়নি। বেগমের এখান থেকে জেতা হচ্ছে না।
Post a Comment
Thank You for your important feedback