সিআরপিএফ ঘেরাওয়ের নিদান মমতার, নালিশ বিজেপির, রিপোর্ট তলব কমিশনের

বুধবার কোচবিহারের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঘেরাও করার নিদান দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বক্তব্যের পরই রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতারাও এই ধরণের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। 

সেইসঙ্গে তিনি জানালেন, ‘কোনও রাজনৈতিক দল কোনও সামরিক বাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী নিয়ে বিরোধিতা করে, মন্তব্য করে, তাহলে তা সংবিধান বিরোধী। রাষ্ট্রবিরোধী কাজ বলে মনে করি। এই মন্তব্যের কি রাজনৈতিক স্বীকৃতি রয়েছে, সেই প্রশ্নই কমিশনের কাছে রাখছি’। তিনি অবশ্য এখানেই থেমে থাকেননি, আরও সুর চড়িয়ে বলেন, ‘এই ধরনের মন্তব্য মাওবাদীরা করতে পারে। সামরিক বাহিনী, আধা সামরিকবাহিনী দেশের রক্ষা করে। তাদের আক্রমণ করছেন মমতা! কোন অধিকারে? এটা জনগণ খ্যাপানো মন্তব্য’। পরে বিজেপির তরফে শিশির বাজোরিয়া রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে নালিশ ঠুকে আসেন। পরে শিশিরবাবু বলেন, এরকম উস্কানিমূলক মন্তব্য থেকে মমতাকে সেন্সর করা হোক।

 উল্লেখ্য, এদিন কোচবিহারের জনসভা থেকে বলেছেন, ‘মা বোনেদের বলছি, বাইরে থেকে কেউ এসে যাতে ঝামেলা করতে না পারে। আর সিআরপিএফ এসে যদি ঝামেলা করে, তাহলে ঘেরাও করবেন। একদল সিআরপিএফকে ঘেরাও করবেন, একদল ভোট দিতে যাবেন। আপনি শুধু ঘেরাও করে রাখেন, তাহলে ভোটটা নষ্ট হবে। এটাই বিজেপির চাল। ঘেরাও ওইভাবে করতে হবে, পরিস্থিতি বুঝে। পাঁচ জন কথা বলবেন, পাঁচ জন ভোট দেবে’। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। মমতার ভাষণের ভিডিও ফুটেজ সহ তাঁর মন্তব্য নিয়ে আগামীকালের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post