করোনা সংক্রমণ সামাল দিতে আগামী ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে লোকাল ট্রেনের চাকা। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে অফিসযাত্রীরা। প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ মানুষ কলকাতা শহরতলি এবং দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও নদিয়া জেলা থেকে কলকাতায় কাজে আসেন। তার একটা বড় অংশ লোকাল ট্রেনেই যাতায়াত করতেন। এবার লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় চরম সমস্যার মুখে নিত্যযাত্রীরা। যদিও সরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়েই চলবে। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালানো নিয়ে রয়েছে সংশয়। অনেক অফিসই খোলা অর্থাৎ কাজ চালু পুরোদমে। ফলে অফিস পৌঁছাতে কালঘাম ছুটছে অনেকের। যাদের বাড়ি কলকাতার কাছাকাছি তাঁরা নিজেদের বাইক বা কয়েকজন মিলে গাড়ি ভাড়া নিয়ে ফের অফিস যাতায়াত শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু যাদের এই ব্যবস্থা নেই তাঁরা কি করবেন?
এই পরিস্থিতিতে তাঁরা অফিসে পৌঁছবেন কীভাবে? রইল কয়েকটি টিপস…
- হাওড়া ও হুগলি জেলার বাসিন্দারা জলপথে স্টিমার বা লঞ্চে করে নদীর এপাড়ে বাবুঘাট, বাগবাজার পৌঁছে যান। এছাড়া দক্ষিণেশ্বরে পৌঁছেও মেট্রো ধরতে পারেন। এক্ষেত্রে মেট্রো বা বাসে অফিসে পৌঁছে যাওয়া সুবিধেজনক।
- উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশের বাসিন্দারা বাসে ডানলপ পৌঁছে বরাহনগর বা দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রো ধরতে পারেন।
- উত্তর ২৪ পরগনার বনগা, বসিরহাট, আমডাঙা সহ বিস্তৃর্ণ এলাকার বাসিন্দা যাদের বাসই ভরসা। তাঁরা ডানলপ বা বারাসত এসে কলকাতার বাস ধরুন। এখান থেকে কলকাতার সিংহভাগ জায়গায় যাওয়ার বাস পেতে পারেন।
- দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা বাস। এক্ষেত্রে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত বাস বা অটোতে এসে কবি সুভাষ থেকে মেট্রো ধরতে পারেন।
- এছাড়া উত্তর এবং দক্ষিণ
শহরতলির বিভিন্ন এলাকা থেকে ফের সাটল বাস পরিষেবা চালু করেছে বেশ কয়েকটি
অ্যাপ ক্যাব সংস্থা। পাশাপাশি কয়েকটি ট্যুর সংস্থাও আগের মতোই বাস পরিষেবা
শুরু করেছে ধর্মতলা পর্যন্ত। সকালে কাঁচড়াপাড়া বা নৈহাটি থেকে ধর্মতলা
পর্যন্ত বাসগুলি চালানো হচ্ছে। বিকেলে একই রুটে ফের গন্তব্যে ফিরছে
বাসগুলি। তবে বেশিরভাগ বাসই রিজার্ভ সিট। আগে থেকে বুক করতে হচ্ছে। এই
বিকল্প পথেই আপনাকে অফিস পৌঁছাতে হবে, এছাড়া উপায় নেই।
Post a Comment
Thank You for your important feedback