প্রায় ৩ লাখ কর্মী তৈরি থাকছে উদ্ধারকাজে, প্রয়োজনে নামবে সেনা, জনালেন মুখ্যমন্ত্রী

আতঙ্কের প্রহর গুণছে বাংলা। তবে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ওডিশাবাসী। বুধবার দুপুরে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়বে ওডিশার বালাসোরের দক্ষিণ ও ধামরার উত্তর দিক দিয়ে অতিক্রম করবে স্থলভাগ। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। দিঘায় জলোচ্ছ্বাস ৪ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, আমফান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগেভাগেই তৈরি হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তিনি নিজে ২৫ ও ২৬ তারিখ বিশে, কন্ট্রোল রুমে থাকবেন। নজরদারি চালাবেন উদ্ধারকাজে।

 

 মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গা সরিয়ে এনেছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোট ৩ লাখ অফিসার, কর্মী, পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। গত বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছিল। এবার আরও বেশি মানুষকে সরানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এবার দুর্গত এলাকার প্রতিটি ব্লকেই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যাতে দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়। রাজ্যের সিনিয়র আইএএস অফিসারদের একেকটি জেলার বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রীদের জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বাড়িতে থেকেও মনিটরিং করছে।


গত বছর আমফানে উদ্ধারকাজে সেনা নামাতে তিনদিন সময় নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেনা নামানো হবে কিনা প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘যেখানেই প্রয়োজন হবে, নামানো হবে। সবাইকেই নামানো হবে। দুর্যোগকবলিত এলাকায় যারা কাজ করে তারা সবাই নামবে’। উল্লেখ্য গত বছর আমফানের বিপর্যয়ের তিনদিন পর কলকাতায় সেনাবাহিনী নামার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাস্তা পরিস্কার করে শহরবাসীকে স্বস্তি দিয়েছিল। পাশাপাশি কলকাতায় কাজের তদারকি করতে মেয়র পারিষদদের কাজ ভাগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

কলকাতা উত্তরে অতীন ঘোষ, তাপস রায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্য়ায়, মধ্য কলকাকায় জীবন সাহা, স্বপন সমাদ্দার থাকবেন। কলকাতা দক্ষিণে অরূপ রায়, দেবাশিস কুমার ,বৈশ্বানর চট্টোপাধ্য়ায়, রতন মালাকার এবং তারক সিং অঞ্জন দত্ত, বেহালা, খিদিরপুর এলাকার দায়িত্বে থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, একাদশী ও ভরা পূর্ণিমার জন্যই গঙ্গায় জলস্তর বাড়ছে। যেটা খুব চিন্তার বিষয়।
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

Previous Post Next Post