দিঘার সমুদ্রের এমন ভয়াল রূপ আগে কখনও দেখা যায়নি বলেই দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সকাল থেকেই প্রবল জলোচ্ছ্বাসে বোল্ডার টপকে রাস্তায় চলে আসছে সমুদ্রের ঢেউ। সেই সঙ্গে তীব্র গতিতে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। তার সঙ্গে অবিরাম বৃষ্টি। সবমিলিয়ে কার্যত বিপর্যস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত শহর দিঘা। এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ গার্ডওয়াল টপকে দিঘা শহরে জল ঢুকতে শুরু করে বলেই জানায় স্থানীয় মানুষজন। আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন এলাকাবাসী। কার্যত জলের তলায় চলে যায় দিঘা সহ আশপাশের দোকানগুলো। ডুবে যায় রাস্তার উপর দাঁড় করানো মোটরবাইক, গাড়ি।
রাস্তা টপকে হোটেলেও ঢুকেছে জল। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভরাকোটালের কারণেই প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, চাঁদিপুর, জুনপুট, বাঁকিপুট সহ সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায়। এই জলচ্ছ্বাস গত ৫০ বছরেও দেখা যায়নি বলে জানা যাচ্ছে। দিঘার আশেপাশের বহু গ্রাম প্লাবিত। সেখানে ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা উদ্ধারকাজে হাত দিয়েছেন। দুর্গত এবং প্লাবিত এলাকার মানুষজনকে। অপরদিকে দিঘা শহরের একাধিক জায়গায় রাস্তার ধারে দাঁড় করানো গাড়ি অর্ধেকের বেশি জলের তলায় ডুবেছে। কোথাও কোথাও গাড়ি উল্টে দিয়েছে ঝোড়ো হাওয়া।
এদিকে একই চিত্র মন্দারমণিতে। এখানেও বীভৎস প্রভাব দেখায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আশপাশের অধিকাংশ হোটেলগুলিতে জল ঢুকে গিয়েছে। রাস্তা টপকে গ্রামগুলোতেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় উড়ে যায় বেশ কিছু বাড়ির চাল। ক্ষতিগ্রস্থ একাধিক দোকান-বাড়ি। এখানেও সেনা নেমেছে উদ্ধারকাজে। আবার হলদি নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় জল ঢুকতে শুরু করেছে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলেও। বুধবার সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ৭০ কিলোমিটার নদীবাধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বহু বাঁধ ভেঙেছে, নন্দীগ্রামেও জল ঢুকে গিয়েছে।
Post a Comment
Thank You for your important feedback