২০ বছর পর তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন বিধানসভা নির্বাচনে। এবার অবশ্য বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রার্থীকে হেলায় হারালেন কোনও দিন ভোটে না জেতা মুকুল রায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হয়েও তাঁকে বিধানসভায় প্রার্থী করে বিজেপি। জানা যায় এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পারলেও দলের সিদ্ধান্তকে মর্যাদা দিয়ে ভোটে লড়েন তিনি। কিন্তু জেতার পরও বিধানসভায় দলীয় বৈঠকে না থাকা এবং তৃণমূল পরিষদীয় কক্ষে আড্ডা মারার মতো ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় মুকুল রায়কে নিয়ে। রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয় মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। জল্পনা আরও উস্কে দিয়ে মুকুল রায় বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়ে মুকুল রায় বলেছিলেন, ‘আমি আজ কিছু বলব না। যখন বলার হবে তখন তোমাদের ডেকে নেব। মানুষের জীবনে এমন দু'একটা দিন আসে যখন মানুষকে চুপ থাকতে হয়’। তবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অবশ্য নিরাবতা ভাঙলেন বিজেপি নেতা। অবশ্য সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি জানিয়ে দিলেন তাঁর আগামী দিনের লক্ষ্য। শনিবার টুইট করে মুকুল রায় জানালেন, ‘বিজেপির সৈনিক হিসেবেই এই রাজ্যে গণতন্ত্রকে পুনর্বহাল করার লড়াই জারি রাখব আমি। আমি সবাইকে অনুগ্রহ করব যাতে তারা সব সাজানো গল্প এবং জল্পনা দূরে সরিয়ে রাখে। আমা আমার রাজনৈতিক পথে দৃঢ়’।
My fight would continue as a soldier of BJP to restore democracy in our state. I would request everyone to put the concoctions and conjectures to rest. I am resolute in my political path.
— Mukul Roy (@MukulR_Official) May 8, 2021
অপরদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা কে হবেন সেটা নিয়ে জল্পনা থামার লক্ষণ নেই। রাজনৈতিক মহলের মতে অভিজ্ঞতার নিরিখে মুকুল রায়ই ওই পদে যোগ্য। তবে তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ে রয়েছেন নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো শুভেন্দু অধিকারীও। এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায় মৌন থাকায় বিভিন্ন জল্পনা বাংলার রাজনৈতিক মহলে ভেসে বেড়াতে শুরু করে। শোনা যায়, বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন মুকুল রায়। আর সেই জল্পনা উস্কে শুক্রবার শপথ নেওয়ার আগে বিধানসভায় পরিষদীয় দলের কক্ষে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। এরপর শপথ নেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় হয় তাঁর। দুজনকে একান্তে কথা বলতেও দেখা যায় সেদিন। এরপরই তিনি বিধানসভা ছাড়েন। যোগ দেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকে। ফলে জল্পনা আরও বাড়ে। এরপরই সব জল্পনার অবসান ঘটালেন সয়ং মুকুল রায়। টুইট করে জানালেন বিজেপির সৈনিক হিসেবেই তিনি রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই জারি রাখবেন।
Post a Comment
Thank You for your important feedback