শিশির অধিকারী, তাঁর পুত্র দিব্যেন্দু এবং বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল সরকারিভাবে এখনও তৃণমূলের সাংসদ। যদিও সুনীল এবং শিশিরবাবু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা মোদি ও শাহর সভামঞ্চেও উপস্থিত হয়েছিলেন একুশের নির্বাচনী প্রচারে। কিন্তু লোকসভা বা যে কোনও আইনসভার নিয়ম অনুযায়ী যেকোনও দল ছাড়তে গেলে ওই দলের এক তৃতীয়াংশ নিয়েই ছাড়তে হয় অথবা সেই আইনসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয়। ঠিক পদ্ধতিতে শুভেন্দু বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলত্যাগ করেছিলেন। অতএব তিনজন সাংসদকে আজও তৃণমূলের সমস্ত নিয়ম লোকসভায় মানতে হবে। ব্যতিক্রম হলে সাংসদ পদ বাতিল হবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এঁদের ধারণা ছিল বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বিশাল আসন নিয়ে বাংলার রাজপাঠে আসবে বিজেপি কিন্তু ফল হরেছে উল্টো। ফলে ভোটের ফল প্রকাশ হতেই কার্যত তাঁরা নিজেদের গৃহবন্দী করে রেখেছেন বলেই খবর। অন্যদিকে শিশিরবাবু এবং দিব্যেন্দুর ডানা ছাঁটা হয়ে গিয়েছে এবং তাঁদের সিকিউরিটিও নাকি ঢিলেঢালা করে রাখা হয়েছে। এমত অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য তাঁদের সিকিউরিটি বাড়িয়ে দিল। কিন্তু কী তাঁদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ? বর্তমানে তৃণমূলের বেশিরভাগ নেতা তাঁদের উপর রাগে ফুটছেন। ফলে এখন অপেক্ষা করা ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় নেই বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
Post a Comment
Thank You for your important feedback