পাঁচতলার বারান্দা থেকেই দুটি শিশুকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল পড়শি দাদু। একজন বরাতজোরে বেঁচে গেলেও অন্যজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। চোখের সামনেই এই ভয়ানক ঘটনা দেখেছিলেন বড়বাজারের এনএস রোডের ঘিঞ্জি গলির কয়েকজন বাসিন্দা। সেই ঘটনারই পুননির্মাণ করলেন কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক বিভাগের আধিকারিকরা। একটি পুতুল নিয়েই তাঁরা দেখলেন কীভাবে ওই শিশুদুটিকে পাঁচতলার বারান্দা থেকে নীচে ফেলেছিলেন শিবকুমার গুপ্তা। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্তর শাস্তি নিশ্চিত করতেই এই পুননির্মাণ জরুরী। দুটি সফট টয়ে দুটি শিশুর ওজনের সমান বালি ভরে ওই পাঁচতলার বারান্দা থেকে নীচে ফেলে দেখে ফরেন্সিক গোয়েন্দারা। মাপজোক করেন পুরো বিষয়ের।
দুটি পুতুলকে শিবকুমার গুপ্তার ঘরের সামনে থেকে একাধিকবার নীচে ফেলা হয় পুননির্মাণের সময়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত দু’বছরের শিশু শিবম সাউয়ের ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে উপর থেকে পড়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শরীরের একাধিক হাড় ভেঙেছে, রয়েছে অভ্যন্তরীণ জখমও। পাশাপাশি প্রাণে বেঁচে যাওয়া বিশাল যাদবের শরীরেও রয়েছে একাধিক আঘাত। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুদুটি যে খেলতে খেলতে পড়ে যায়নি, তাঁদের যে জোর করেই নীচে ফেলা হয়েছিল সেটা বুঝতেই এই ফরেন্সিক পরীক্ষা। তদন্তকারী পুলিশের দাবি, শিবকুমার বুঝেশুনে এমনভাবে দুই শিশুকে তুলে নীচে ফেলেছিল, যাতে তারা নীচে পড়ে। কারণ, জোরে ছুঁড়লে উল্টোদিকের বাড়ির বারান্দায় গিয়ে পড়ত তারা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback