অত্যন্ত দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করেই সেনাবাহিনীতে পেয়েছিলেন রাজেশ ওরাং। স্বপ্ন ছিল মাটির বাড়ি পাকা করার। পরিবারকে একটু ভালো রাখার। কিন্তু হঠাৎ করেই সব শেষ। লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকায় চিনা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ২০ ভারতীয় সেনা জওয়ান। তার মধ্যে রয়েছে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকার বেলঘড়িয়া গ্রামের রাজেশ ওরাংয়ের নামও। তিনি বিহার রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার রাতেই সেনাবাহিনীর তরফে রাজেশের পরিবারকে টেলিফোনে জানানো হয়েছে এই মর্মান্তিক খবর। গ্রামের তরতাজা যুবকের এভাবে মৃত্যুর খবরে শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম। রাজেশের মা ছেলের শোকে ঘন ঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন।
রাজেশের ভাই জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগেই রাজেশ বাড়িতে ফোন করেছিলেন। এরপর আর কোনও যোগাযোগ করতে পারেনি সে। তখনই সে জানায় লাদাখে দুর্গম এলাকায় তাঁর ডিউটি পড়েছে, সেখানে কোনও ফোনের টাওয়ার নেই। রাজেশের এক বন্ধু জানালেন, লকডাউনের আগেই রাজেশ বাড়ি আসার কথা বলেছিল। বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যানও করেছিল সে। তারজন্য ছুটিও জোগাড় করেছিল রাজেশ, কিন্তু বাধ সাধে লকডাউন। আর বাড়িই ফেরা হল না রাজেশের। রাজেশের ভাইয়ের দাবি, তাঁর দাদা শহিদ হয়েছেন, কিন্তু ভারত যেন এর যোগ্য জবাব দেয়। পরিবারের দাবি, বুধবার রাতের মধ্যেই রাজেশের দেহ কলকাতায় নিয়ে আসা হবে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে। রাজেশ ওরাংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি রাজেশের বাবা-মায়ের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback