১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধে হারের পাঁচবছর পর ১৯৬৭ সালের সংঘর্ষকেই সকলে মনে রেখেছেন দুই প্রতিবেশির শেষ সংঘর্ষ হিসেবে। সিকিমের সেই সংঘর্ষে বলতে গেলে ৬২ সালের বদলা নিয়েছিল ভারত। ভারতের ৮০ জনের মতো জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। চিনের মারা গিয়েছিল ৪০০ জওয়ান।
তবে বিবাদে ঘেরা সীমান্তে সেটাই তারপরের একমাত্র সংঘর্ষ নয়। আটবছর পরেই শেষ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অরুণাচল প্রদেশের অসম রাইফেলসের চার জওয়ানকে মারা হয়েছিল তুলুং লা-য়। রীতিমতো অতর্কিত হানা চালিয়ে মারা হয়েছিল তাদের। ১৯৭৫ সালের ২০ অক্টোবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ওই সংগর্ষের পর চিনের যু্ক্তি ছিল, ভারত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করেছিল। তা অস্বীকার করে ভারত।
বেজিংয়ের বিদেশমন্ত্রক বলেছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চিনা ছাউনিতে গুলি ছুঁড়েছিল ভারতই। চিনা যা করেছে, তা আত্মরক্ষার্থেই। ভারত তাদের জওয়ানদের দেহ পেয়েছিল এক সপ্তাহ পরে, ২৮ অক্টোবর।
মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ১৯৭৫ সালের বার্তায় দেখা যাচ্ছে, তুলুং লা-র ৫০০ মিটার দক্ষিণে ভারতের ভূখণ্ডে ওই হামলা হয়েছিল। চিনা এক কোম্পানি সেনা পাঠিয়ে ভারতের মাটিতে পাঁচিল তোলার চেষ্টা করেছিল। তারপরই বহু রাউন্ড গুলি চালায়।
তুলুং লা একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায়। বুম লা ও তাওয়াংয়ের কয়েক কিলোমিটার দূরে। ১৯৬২ সালে এই এলাকাকে ব্যবহার করেই চিনা তাদের সেনা ঢুকিয়েছিল বোমডিলা পর্যন্ত। মার্কিন বার্তায় বলা হয়েছিল, চিন সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ভান করলেও আসলে তাদের লক্ষ্য অরুণাচলপ্রদেশ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback