শেষটা একেবারেই ভালো হল না কোস্টারিকার বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টার। মনে একরাশ ক্ষোভ ও দুঃখ নিয়েই শহর ছাড়লেন তিনি। কেন? সবটাই জানালেন নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে। সেইসঙ্গে অবশ্যই কলকাতার ফুটবল পাগল সমর্থকদের ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি ইস্টবেঙ্গলের বিশ্বকাপার। সোমবার সকালেই জনি অ্যাকোস্টা কোস্টারিকার উদ্দেশে উড়ে গেলেন। কিন্তু তার আগে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও ইনভেস্টর কোয়েসের উপর নিজের ক্ষোভ উগরে দেয়েছেন তিনি। বেতন সমস্যা না মেটানো, দেশে ফেরার ব্যবস্থা না করে দেওয়ার মতো অভিযোগ তুলে ধরে কোয়েসকে একহাত নেন অ্যাকোস্টা। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘জীবনের একটা বৃত্ত শেষ করলাম। তবে এবার অভিজ্ঞতা একটু অন্যরকম। কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসির প্রতি আমার অনেকখানি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল। কিন্তু শেষমেশ চুক্তি আর বেতন নিয়ে কোনও সমস্যাই মিটল না। প্রতিশ্রুতি রাখল না তাঁরা। এমনকী আমায় কোস্টারিকা ফেরার ব্যবস্থাও করে দিল না। আমার প্রতি কোনও সহানুভূতি দেখানো হল না’।
যদিও তিনি সমর্থকদের ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে লেখেন, ‘এখানে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। আমার পাশে থাকায় সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই। ওদের সবসময় মনে রাখব। ধন্যবাদ ইস্টবেঙ্গল এফসি’। উল্লেখ্য, লকডাউনের জন্য চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের বেতনে কাটছাঁট করার কথা জানিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মূল স্পনসর কোয়েস। যদিও বর্তমানে দুই পক্ষের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। এরপর থেকেই খেলোয়াদের একাংশের সঙ্গে ক্লাব কর্তৃপক্ষের তিক্ততা তৈরি হয়। জনি অ্যাকোস্টা দলের দুঃসময়ে ক্লাবের স্বার্থেই মাঝপথে কলকাতায় চলে আসেন। যদিও আইলিগ মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়। পয়েন্টের নিরিখে মোহনবাগানকে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে এআইএফএফ। এরপর ইস্টবেঙ্গল আর ফুটবলারদের চুক্তির ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি বলে ফুটবলারদের অভিযোগ। এমনকি বিদেশি জনি অ্যাকোস্টাকেও বাড়ি ফেরার কোনও ব্যবস্থা করেনি ক্লাব ও প্রাক্তন স্পনসর। ফলে দুই পক্ষের উপর একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে নিজ উদ্যোগেই দেশের বিমান ধরলেন এই বিশ্বকাপার ডিফেন্ডার।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback