সোমবারই দিল্লিতে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদকুমার যাদব বিভিন্ন রেল জোনের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি জানান, রবিবার রাতে আবেদন জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার, তাই সেখানে লোকাল ট্রেন চালানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও আবেদন করলে পরিস্থিতি বিচার করে লোকাল ট্রেন চালানোর কথা ভেবে দেখা হবে। ফলে জল্পনা বাড়ছে লোকাল ট্রেন চালু করা নিয়ে। রাজ্যের প্রায় সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে গিয়েছে। অথচ বন্ধ গণপরিবহণের অন্যতম মাধ্যম লোকাল ট্রেন। এই আবহেই রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলে দিল রেল বোর্ড। জানা যাচ্ছে, দূরত্ববিধি বজায় রেখে কীভাবে ট্রেন চালানো হবে, তার রূপরেখা তৈরি করতে বিভিন্ন স্টেশনে আরপিএফ অফিসারদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এরপরই নতুন জল্পনা উস্কে ট্রেন চালানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। হাওড়া ডিভিশনের আরপিএফ আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সাধারণ সময়ে কেমন ভিড় হয়, দিনে মোট কত লোকাল ট্রেন চলে, স্টেশনে ঢোকা ও বেরোনোর পথের নকশা। এছাড়াও স্টেশনগুলির ম্যাপ, থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের অবস্থান কোথায় হতে পারে এরকম যাবতীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। শনিবারই এই নির্দেশিকা আসে হাওড়া ডিভিশনের আরপিএফ কার্যালয়ে। সেখানে বলা হয়েছে, ১০ দিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সমীক্ষার কাজ শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে। পূর্ব রেলের কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, জুলাই মাসের প্রথম দিকেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করে দেওয়া হতে পারে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback