চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ নিয়ে ভার্চুয়াল সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের কাছে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কোন অবস্থায় সংঘর্ষ হয়েছে, তা বিশদে বলেন। তাঁরা বলেন, সেনা সাহসের দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ রেখেছে। বৈঠকের শুরুতেই শহিদদের স্মৃতিতে নীরবতা পালন করেন সবাই।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, বৈঠকে সোনিয়া গান্ধি সাতটি প্রশ্ন করেন, কবে চিনা সৈন্য ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে? সরকার কি স্যাটেলাইটের ছবিতে তা জানতে পারেনি? গোয়েন্দা রিপোর্টে কি আগেই সতর্ক করা হয়নি? সোনিয়া বলেন, অনেক পরে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। এখনও সবাই অন্ধকারে। তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, চিনকে টেলিকম, রেল এবং বিমান পরিবহম ক্ষেত্রে ঢুকতে দেওয়া উচিত হবে না। তাতে কিছু সমস্যা হলেও চিনকে ছাড় দেওয়া চলবে না। তাঁর মতে, সর্বদলীয় বৈঠছক ভালো পদক্ষেপ। দেশের কাছে বার্তা যাচ্চে যে দেশ এই সময়ে জওয়ানদের সঙ্গে এক।
তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির কে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, কাশ্মীর এবং আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্কল্প চিনকে বেসামাল করে দিয়েছে। সিপিআইয়ের ডি রাজা বলেন, আমেরিকা ভারতকে যে তাদের দিকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে, তা প্রতিহত করা উচিত। পঞ্চশীল নীতির ওপর জোর দিতে বলেন সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি। এনসিপির শরদ পাওয়ার বলেন, সেনারা অস্ত্রহাতে ছিল কিনা তা বড় প্রশ্ন নয়। তা আন্তর্জাতিক চুক্তির ওপর নির্ভরশীল। এনপিপি-র কনরাড সাংমা বলেছেন, উত্তরপূর্বে পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ বন্ধ করা উচিত নয়। মায়নমার ও বাংলাদেশে চিনের মদতে কাজকর্ম উদ্বেজনক।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback