পরিযায়ীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে মোদির ‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’



করোনা ভাইরাসের থাবায় প্রায় তিনমাসের বেশি সময় লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। ফলে কাজ হারিয়েছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। একদিকে রোজগার বন্ধ, অন্যদিকে দুবেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম ওই শ্রমিকরা দলে দলে বাড়ির পথে হাঁটা লাগিয়েছিলেন। এরপর রেলমন্ত্রক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু করলেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। অপরদিকে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দল নিজের রাজ্যে ফিরলেও নেই কাজ। এবার সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের বন্দোবস্ত করতে পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কবে করোনার প্রকোপ কমবে তা কেউ বলতে পারছেন না। ফলে ওইসব শ্রমিকরা কী করবেন? উঠছিল প্রশ্ন। এবার নিজেদের এলাকায় যাতে পরিযায়ীরা কিছু কাজ করতে পারেন তার জন্য শনিবার ‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


এই প্রকল্পে কেন্দ্র খরচ করবে ৫০,০০০ কোটি টাকা। এর আওতায় দেশের ছয়টি রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও, এই তালিকায় বাংলার নাম নেই। এদিন বিহারের খাগাড়িয়া জেলার তেলিহার গ্রাম থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে ছিলেন দেশের আরও ৫ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, আর পরিবার ছেড়ে দূরে যেতে হবে না পরিযায়ী শ্রমিকদের। বাড়ির কাছাকাছিই তাঁদের জন্য কাজের বন্দোবস্ত করা হবে।


জানা যাচ্ছে, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং রাজস্থানের ১১৬টি জেলায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের বন্দোবস্ত করা হবে। বছরে ১২৫ দিন এই প্রকল্পে কাজ পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা ঘোচাতে দেশের সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছিল দেশের বিরোধীদলগুলি। এই আবহেই প্রধানমন্ত্রী শনিবার পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন।






Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم