ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে ভেঙেছে নদীবাঁধ। ফলে নদীর জল ঢুকে পড়েছে গ্রামের পর গ্রামে। এরমধ্যেই গ্রামের পুকুরে দেখা মিলল এক পূর্ণবয়স্ক কুমিরের। ফলে তীব্র আতঙ্ক ছড়াল গ্রামে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপিঠ কোস্টাল থানা এলাকার বিনোদপুর গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার সন্ধের সময় গ্রামের কয়েকজন দেখতে পান পুকুরে কিছু ভাসছে। এরপরই টর্চ ও আলো নিয়ে দেখতে পান সেটি একটি কুমির। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বন দফতর ও মইপিট কোস্টাল থানার পুলিশকে। এরপরই নলগোরা রেঞ্জ থেকে বনদপ্তর এর কর্মীরা আসেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মইপিট কোস্টাল থানার পুলিশও। এরপর প্রায় দু’ঘন্টার চেষ্টায় বনকর্মীরা কুমিরটিকে পুকুর থেকে তুলতে সক্ষম হয়। জালেই আটকে জল থেকে তোলা হয় ছয় ফুট লম্বা পূর্ণবয়স্ক কমিরটিকে। নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কুমিরটি প্রায় হাফ কিলোমিটার দূরে বিনোদপুর গ্রামের ওই পুকুরে চলে এসেছিল বলে মনে করছেন বনকর্মীরা।
রাত পাহারায় গ্রামবাসীরা….
অপরদিকে, বাঘের আতঙ্কে রাতের ঘুম ছুটেছে কুলতলির দেউলবাড়ি তিন নম্বর নাইয়াপাড়ার বাসিন্দাদের। ওই গ্রামের বাসিন্দারা দিনে ও রাতে বাঘের গর্জন শুনছেন। ফলে বিকেল হতেই ঘরবন্দি হয়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। তবে শুধু বাঘের গর্জনই নয়, বাঘের আক্রমণে মৃত্যুও হয়েছে এই গ্রামের এক বাসিন্দার। গত শনিবার চিতুড়ি ফরেস্টের নাইয়া পাড়ার পাশের বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয় গোষ্ঠ নাইয়া নামে এক ব্যক্তির। এরপর থেকেই বাঘের আতঙ্কে জড়োসড়ো গ্রামবাসীরা। ফলে রাত জেগে গ্রাম পাহাড়ায় থাকছেন গ্রামের পুরুষরা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback