অনেকদিন ধরেই প্রশ্নটা উঠছিল সাধারণ মানুষের মনে। লকডাউনের বিধি-নিষেধ অনেকটাই শিথিল করা হলেও কেন চালানো হচ্ছে না লোকাল ট্রেন? কারণ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কলকারখানা, বাজার, শপিং মল, রেস্তরাঁ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও খুলে গিয়েছে। হাজিরাও কোনও কোনও জায়গায় ১০০ শতাংশ বা কোনও জায়গায় ৭০ শতাংশ। কিন্তু গণপরিবহণের সবচেয়ে বড় মাধ্যম লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চালানোর অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ফলে রোজই বাস ধরতে গিয়ে নাকাল হচ্ছেন অফিসযাত্রীরা। অবশেষে মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু হতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনে কবে চালু হবে?
জানা যাচ্ছে, বাস-ট্রামের পর এবার লোকাল ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শীঘ্রই হাওড়া ডিভিশনের লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে সুরক্ষা বিধি নিশ্চিন্ত করতে স্টেশন এবং ট্রেনে চড়ার সময় বেশ কিছু নিয়মের বদলও আনা হতে পারে। পূর্বরেল সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। বিশেষ করে স্টেশনে ঢোকা ও বের হওয়ার সময় যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। দূরত্ববিধির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। পাশাপাশি মাথায় রাখা হচ্ছে অফিস টাইমের ভিড় সামলানো নিয়েও। ফলে এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু করা যায়, সেটা নিয়ে দুই ডিভিশনের শীর্ষ কর্তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে পূর্বরেল। সূত্রের খবর, তাঁদের প্রতিটি স্টেশনের পরিকাঠামো সরেজমিনে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রেলমন্ত্রকই।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, রেলকর্মী ও আধিকারিকরা তৈরিই রয়েছেন, যাতে নির্দেশ এলেই ট্রেন চালাতে পারবেন তাঁরা। এজন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সারা হয়েছে। তবে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি বলেই পূর্বরেলের এক শীর্ষকর্তার দাবি। একই পরিস্থিতি কলকাতা মেট্রোতেও। ইতিমধ্যেই নোয়াপাড়া থেকে দমদম হয়ে ট্রায়াল রানও দিয়ে রেখেছে কলকাতা মেট্রোর কর্তারা। সিগন্যালিং ব্যবস্থা, রেক মেরামতি শেষ। যাত্রী পরিষেবা চালু হলে, টিকিট কাউন্টারে কীভাবে দূরত্ববিধি মানতে হবে, সবটাই পরখ করে রাখা হয়েছে। এখন শুধু নির্দেশ আসার অপেক্ষা।
Google
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback