লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রনরেখার কাছেই প্যাংগং লেক (Pangong Tso)। এর কাছেই একটি গিরিশিরা ঢুকে আছে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে। যাকে সামরিক বাহিনীর পরিভাষায় ফিঙ্গার-৪ নাম দেওয়া হয়েছে। এই ফিঙ্গার-৪ এর কাছে হেলিপ্যাড এ ব্যাঙ্কার বানিয়েছে চিন। পাশাপাশি হঠাৎ করেই সেখানে লাল ফৌজের আনাগোনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। গালওয়ান উপত্যাকাকে আগেই নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছিল চিন। এবার তাঁরা প্যাংগং লেককেও নিজেদের বলে দাবি করতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। উপগ্রহ চিত্র ও সেনাসূত্র বলছে, গলওয়ান উপত্যকা ছাড়িয়ে চিনা সক্রিয়তা লাদাখের অন্যত্র এলাকায় অনেকটাই ছড়িয়েছে। গালওয়ান ও প্যাংগং লেকের মতো গোগরার হট স্প্রিং, এবং দেপসাং উপত্যকা থেকেও চিনা সেনার উপস্তিতি টের পাওয়া যাচ্ছে উপগ্রহ চিত্রে। আবার গলওয়ান উপত্যকায় চিনের নতুন পোস্ট ও নির্মাণও ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। অর্থাৎ এটা স্পষ্ট, ভারত-চিন সামরিক বৈঠকে মুখে পিছু হঠার কথা বললেও বেজিং আদৌ সে পথে হাঁটছে না। এক সামরিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এক সর্বভারতীয় ইংরেজী দৈনিক জানিয়েছে, গত আট সপ্তাহে গালওয়ান ও প্যাংগং লেক এলাকায় বহু পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে চিন।
এরমধ্যে নতুন সংযোজন হেলিপ্যাড নির্মাণ। জানা যাচ্ছে, ফিঙ্গার-৩ এলাকাতেও চিনা সেনার টহল বেড়েছে। উল্টে তাঁরা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ফিঙ্গার-২ এর দিকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। ফলে এই এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারত। প্যাংগংয়ে ভারতও নিজেদের বাহিনী বাড়িয়েছে। চিনের এই জাতীয় কার্যকলাপে দ্রুত সমস্যা সমাধানের কোনও আশা নেই বলে মনে করছে ভারত সরকার। প্রায় দু’মাসব্যাপী গালওয়ান উত্তেজনা না মেটায় চিনের একগুঁয়ে মনভাবকেই কাঠগড়ায় তুলছে দিল্লি। চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি চিনকে নতুন নির্মাণ বন্ধ করার বার্তা দিয়ে পরোক্ষে উপগ্রহ চিত্র ও সূত্রের দাবিকেই মান্যতা দিয়েছেন। চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি এ দিন বলেন, 'প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা দ্বন্দ্ব মেটানোর একমাত্র পথ চিনকে সেখানে নতুন নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় সেনার টহলদারিতে বাধা দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback