বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে ঘরে রাখতে নারাজ স্ত্রী। সেই কারণেই স্বামীকে প্রতিনিয়ত মারধোর করেন স্ত্রী। অত্যাচারের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শরীরে একাধিক জায়গায় সিগারেটের ছ্যাকা ও মারধোরের কালসিটে দাগ রয়েছে ওই যুবকের। অত্যাচারের মাত্রা সহ্য করতে না পেরে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ওই যুবক। তিনি পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। বাড়ি সল্টলেকের সেক্টর ওয়ানের বিই ব্লকে। ওই যুবকের কাহিনী শুনে তাজ্জব পুলিশ আধিকারিকরাই। কারণ দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা শোনেননি কোনও পুলিশকর্মীই। যদিও ওই যুবকের অভিযোগ, পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি অভিযোগ জানানোর পর। চলতি মাসের ১০ তারিখ তিনি বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে। নিছক অভিযোগ নয়, রীতিমতো লুকোনো ক্যামেরায় তাঁর ওপর স্ত্রীয়ের অত্যাচারের প্রমান হিসেবে বিভিন্ন ভিডিও জমা দিয়েছেন থানায়। তবুও কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ। ফলে শুক্রবার ফের তিনি আসেন বিধাননগর উত্তর থানায়। কথা বলেন বিধাননগর পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে।
৩৪ বছরের সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের দাবি, বিগত চার বছর ধরেই তাঁর স্ত্রী তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করে আসছেন। তবে ইদানিং অত্যাচারের মাত্রা ব্যাপক বেড়েছে। ওই যুবকের দাবি, লকডাউন শুরু আগেই তাঁর বাবা-মা এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। ফলে সেখানে গিয়ে আটকা পড়েন তাঁরা। লকডাউন শিথিল হতেই সম্প্রতি তাঁরা সল্টলেকের বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে ঘরে রাখতে নারাজ। শ্বশুর-শাশুড়িকে দেখেই তেলে-বেগুনে জ্বলে স্বামীকেই মারধোর করেন। শরীরে সিগারেটের একাধিক ছ্যাকা দিয়েছেন তাঁর সহধর্মিনী। পাশাপাশি চড়, থাপ্পড়, লাথি ইত্যাদি তো রয়েছেই। বাবা-মাকে খাবার দিতেও বাঁধা দিচ্ছেন স্ত্রী। এই সমস্ত অভিযোগেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ইঞ্জিনিয়ার যুবক। বছর পাঁচেক আগে সম্বন্ধ করেই বিয়ে হয়েছিল তাঁর। শ্বশুরবাড়ি বাগুইহাটিতে। এখন দেখার পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয় এই বিষয়ে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback