শহিদ রাজেশ ওরাংকে শেষবিদায় জানাল তাঁর গ্রাম বীরভূমের মহম্মদবাজারের বেলঘরিয়া। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়ায় শেষকৃত্য হয়েছে আরেক শহিদ বিপুল রায়েরও। সকালে লাদাখ সীমান্তে শহিদ জওয়ান রাজেশকে শ্রদ্ধা জানাতে কাতারে কাতারে বীরভূমের মানুষ সার বেঁধে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন। সকালে পানাগড় সেনা বিমানঘাঁটি থেকে কফিনবন্দি তাঁর দেহ এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর বাড়ির লোকজন। ছেলের দেহের সামনে এসে স্তব্ধ হয়ে যান তাঁর মা, আত্মীয়েরা। বিকেলে হাসিমারা বিমানঘঁটি থেকে বিন্দিপাড়ায় আসে বিপুল রায়ের কফিনবন্দি দেহ। বিউগিলে লাস্ট পোস্টের মধ্যে তাঁদের বিদায় জানায় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। শূন্যে গুলি ছুঁড়ে প্রথামাফিক গার্ড অফ অনারও দেওয়া হয়। ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সরকারি আধিকারিকরা। বাড়ির কাছেই সমাধিস্থ করা হয় রাজেশকে। বিপুলের স্ত্রী ও মেয়ে দুপুরে পৌঁছন মিরাট থেকে। গোটা জেলাই বলতে গেলে ভেঙে পড়ছে বিন্দিপাড়াতেও। তাঁর বাড়ি কাছেই একটি মাঠে তৈরি হয়েছিল মঞ্চ, সেখানেই শায়িত ছিল বিপুলের তেরঙা জড়ানো কফিন। তারপর চোখের জলে হয় শেষকৃত্য।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback