পেশায় পরিচারিকা লক্ষ্মী দাসের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন শিবশঙ্কর পাল নামে এক ব্যক্তি। সেই টাকা ফেরতের চাপ দিচ্ছিলেন লক্ষ্মী। আর সেটাই কাল হল, নৃশংশভাবে খুন হতে হল তাঁকে। শুক্রবার মাঝরাতে কলকাতা শহরে চলন্ত অ্যাপ ক্যাবেই খুন হয় লক্ষ্মী দাস নামে ওই মহিলা। খুনের পর দেহ লোপাটের জন্য বাইপাসের ধারে এক নির্জন স্থানে ফেলেও আসে শিবশঙ্কর। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না, পুলিশের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে সে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকমাস আগে লক্ষ্মীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন শিবশঙ্কর। টাকা ফেরত নিয়ে বেশ কয়েকবার বচসাও হয় দুজনের।
নিহত লক্ষ্মী দাস ও অভিযুক্ত শিবশঙ্কর…
শুক্রবার রাতে টাকা ফেরতের নামে লক্ষ্মীকে ডাকে শিবশঙ্কর। সেইমতো সাদার্ন অ্যাভিনিউ থেকে একটি অ্যাপ ক্যাবে লক্ষ্মীকে তুলে নেয় সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অ্যাপ ক্যাবেই লক্ষ্মীর গলা কেটে নৃশংশভাবে খুন করে শিবশঙ্কর নামে ওই যুবক। এরপর সেই গাড়ি নিয়েই বাইপাসের ধারে এক নির্জন স্থানে গিয়ে দেহ ফেলে চম্পট দেয় সে। পরে দেহ পড়ে রয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে রাতেই ওই অ্যাপ ক্যাব চিহ্নিত করে পুলিশ। সেই সূত্রেই পুলিশ শিবশঙ্করের নাগাল পায়। তাঁকে ভোর রাতেই ধরে ফেলে পুলিশ। এরপরই চলন্ত গাড়িতে এই হাড়হিম করা খুনের কিনারা করে ফেলে টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। আপাতত তাঁকে জেরা করা হচ্ছে আরও তথ্য জানার জন্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের কুকীর্তির কথা স্বীকারও করেছে শিবশঙ্কর। শনিবারই তাঁকে আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback