শক্তি বাড়িয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা


রবিবার সন্ধ্যা থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছিল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গত কয়েকদিন ধরেই চলছে বৃষ্টিপাত। ফলে উত্তরের কয়েকটি জেলায় বন্যার ভ্রুকুটি। এরমধ্যেই নতুন করে আশঙ্কার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, আরও আটচল্লিশ ঘন্টা উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। একটানা কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির জন্য সেখানকার নদীগুলিতে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। পাশাপাশি নেপালেও ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। সবমিলিয়ে উত্তরবঙ্গে নদী ছাপিয়ে জল ঢুকছে গ্রামগুলিতে। অপরদিকে আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মৌসুমী অক্ষরেখা নতুন করে শক্তি সঞ্চয়ের পর আগামী পাঁচদিন ভারী বৃষ্টিপাত চলবে উত্তরবঙ্গে।


 ফলে নদীগুলিতে জলস্তর আরও বাড়বে বলেই সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ইতিমধ্যেই জলস্তর বাড়ায় শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির নিচু এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১, ৪, ৫ ও ৯, ২৫ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে বলে খবর। একই অবস্থা বানারহাটে। তিস্তার জল পাড় ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে নন্দনপুর বোয়ালমারি ও কুচলিবাড়ি এলাকায়। গত ২৪ ঘন্টায় শিলিগুড়িতে ২৩২.০০ মিলিমিটার, জলপাইগুড়িতে ১৪৫.৪০ মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ারে ৩৪৫.৪০ মিলিমিটার, কোচবিহারে ২০৭.০০ মিলিমিটার, মালবাজারে ২৯০.৬০ মিলিমিটার ও গজলডোবায় ৪৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাস্প ঢুকে পড়ায় দক্ষিণবঙ্গে মেঘের সঞ্চার ঘটেছে। বজ্রগর্ভ মেঘের ফলে কলকাতা সহ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঘনঘন বাজ পড়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই। কলকাতায় ভারী বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়। সোমবার সকালেও অনেক জায়গায় জল নামেনি। ফলে অফিসযাত্রীদের ভোগান্তি চরমে।
 

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم