পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে এক থেকে দেড় কিলোমিটার পিছু হটল চিনা সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনা ও সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গালওয়ান থেকে তাদের যাবতীয় স্ট্রাকচার চিন অন্তত এক থেকে দেড় কিলোমিটার পিছিয়ে নিয়েছে। উত্তেজনা কমাতে দুই দেশের মধ্যে ‘বাফার জোন’ তৈরির উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে আপাতত গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রনরেখা (LAC) থেকে চিনাবাহিনী পিছু হটলেও অন্যান্য এলাকা থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। যদিও প্যাংগং লেকের বিভিন্ন ফিঙ্গার পয়েন্টে চিনা সেনার অবস্থান একই রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, চিনা সেনা বাহিনী পিছিয়ে গেলেও তঁদের সাঁজোয়া গাড়ি ও অন্যান্য ভারী যানবাহন রয়ে গিয়েছে। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারতীয় সেনা আধিকারিকরা।
সংবাদসংস্থা এএনআই আরও জানিয়েছে, গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে গত ২২ এবং ৩০ জুন দুই সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকের ফলশ্রুতিতেই এই ‘ডিসএনগেজমেন্ট’। রবিবার থেকেই চিনা সেনা পিছু হঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার আচমকা লাদাখ সফরে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ ও সেনাপ্রধান। এর তিনদিনের মধ্যেই চিনা বাহিনীর পিছিয়ে যাওয়া যথেষ্ঠই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। সেনা সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, প্যাংগং লেক সংলগ্ন ফিঙ্গার পয়েন্ট ৪ থেকে ৮-এর মধ্যে বহু এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা চিনা বাহিনী এখনও একই অবস্থানে রয়েছে। সেই কারণে ওই এলাকায় টহল দিতে পারছে না ভারতীয় সেনা। অপরদিকে দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটির অদূরে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়া চিনা বাহিনী এখনও সরেনি। ফলে গালওয়ানে কিছুটা পিছু হটলেও চিনা সেনাবাহিনীর আসল উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback