অবশেষে বরফ গলার ইঙ্গিত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। আগামী মরশুমে আইএসএল বা আইলিগ খেলতে হলে ক্লাবের দরকার ছিল স্পোর্টিং রাইটস। যা ক্লাবের মূল স্পনসর কোয়েসের কাছে ছিল। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে কোয়েসের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয় ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করছিলেন কোয়েস কর্তা। এমনটাই অভিযোগ করছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তারা। এমনকি ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনও পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিল, ক্লাবের স্পোর্টিং রাইটস দাখিল করলেই চলতি মরশুমে ক্লাব লাইসেন্সিং করা সম্ভব হবে। এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়েছিল শতাব্দীর দোরগোড়ায় দাঁড়ানো ইস্টবেঙ্গলে। অবশেষে স্বস্তির খবর লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য। খুব শীঘ্রই আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেই পাকাপাকি বিচ্ছেদ হবে কোয়েস ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে। এরপরই বহু প্রতীক্ষিত স্পোর্টিং রাইটস ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হাতে চলে আসবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, গত দুবছরে ইস্টবেঙ্গলের জন্য প্রায় ৪২
কোটি টাকা খরচ করেছে কোয়েস সংস্থা।
তবুও ক্লাবের সঙ্গে বিচ্ছেদ হোক চাননি কোয়েস কর্তা অজিত আইজ্যাক। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতি আবেগ থেকেই তিনি চেয়েছিলেন চুক্তির মেয়াদ বাড়ুক। কিন্তু ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে অবনতি হতে থাকে দিন দিন। এই পরিস্থিতিতে বিচ্ছেদের কাগজপত্র হাতে পেয়ে গিয়েছেন বলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তাদের বক্তব্যেই চরম চটে যান কোয়েস কর্তা। তিনি যতক্ষণ না নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত কোয়েসকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে আলাদা করে ভাবা যাবে না বলেই তিনি ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছিলেন। এছাড়া আরও কয়েকটি বিষয়ে ক্লাবের সঙ্গে তাঁর মতান্তর হয়। তবে শেষ পর্যন্ত জট খোলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে। তিনিই সূত্রধরের কাজ করেছেন বিবদমান দুই পক্ষের হয়ে। জানা যাচ্ছে, কোয়েস কর্তা রাজি হয়েছেন ইস্টবেঙ্গলকে স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দিতে। যা খুব শীঘ্রই হাতে পেয়ে যাবেন ক্লাব কর্তারা। এরপর দেখার, ইস্টবেঙ্গল আইএসএল না আইলিগ কোনটা খেলে আগামী মরশুমে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback