এবার এক বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল রাজ্য রাজনীতিতে। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে মাত্র ১ কিমি দূরে একটি বন্ধ চায়ের দোকানের সামনেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এলাকাটি রায়গঞ্জের বিন্দোল পঞ্চায়েতের বালিয়া গ্রাম। এই ঘটনা জানাজানি হতেই প্রচুর মানুষ ঘটনাস্থলে চলে আসেন। ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপি বিধায়কের পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে। যদিও খুন নাকি আত্মহত্যা সেটা নিয়ে মুখ খোলেনি পুলিশ। বিধায়কের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সহ রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের নেতারাই। বিজেপি নেতাদের দাবি, দেহটি যে অবস্থায় ছিল, তাতে পরিস্কার দেবেন্দ্রনাথবাবুকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ তাঁর হাত বাঁধা অবস্থায় ছিল বলে দাবি বিজেপির। রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি গোটা ঘটনার নিরেপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘দেবেনবাবুর মৃত্যু যথেষ্ট সন্দেহজনক। একজন মানুষ হাতবাধা অবস্থায় কখনই আত্মহত্যা করতে পারেন না। সকলেই সন্দেহ করছে। আমরা চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ বের করুন’। বিধায়কের স্ত্রী তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান চন্দ্রিমা রায়ও একই দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে তাঁরা স্বামীকে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দেবেন্দ্রনাথ রায় সিপিএমের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। এরপর ২০১৯ সালেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ রায়, ফলে তাঁর এহেন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। যদিও পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের পরই বলা সম্ভব হবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, গতকাল রাতেই তাঁকে বাড়ি থেকে কেউ ডেকে নিয়ে যায়। বিজেপির অভিযোগ, এটা কোনও মতেই আত্মহত্যা হতে পারেনা। রীতিমতো পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। অভিযোগের তির শাসকদলের দিকে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানানো হবে সমস্ত ঘটনা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback