কড়া হাতে লকডাউন লাগু করতে তৎপর পুলিশ। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকেই শুরু হবে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন। ফলে এদিন সকাল থেকেই ওই এলাকা ঘিরে ফেলতে ব্যারিকেড করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি কড়া নজর রাখতে পুলিশ মোতায়েনের কাজও চলছে এলাকায় এলাকায়। কলকাতা, হাওড়া ও দুই ২৪ পরগনার কনটেনমেন্ট জোনগুলির পরিস্থিতি খতিয়েও দেখেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। তবে বিকেল থেকেই যেখানে কড়া লকডাউন, সেখানে সকালেও ধরা পড়ছে অসচেতনার ছবি। এলাকার বাজারে অবাধ ভিড়। শিকেয় দূরত্ববিধি। বেশিরভাগ লোকের মুখেই মাস্ক নেই। এমনকী পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়েই চলছে অবাধ যাতায়াত।
এদিন মানিকতলা বাজারে পুলিশের তরফে মাইকিং করার পরও অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। ফলে পুলিশ এই সমস্ত এলাকাগুলিতে লকডাউন সফল করতে কতটা সফল হয় সেটাই দেখার। বুধবার রাত থেকেই কলকাতার চিহ্নিত কনটেনমেন্ট জোনে মাইকে প্রচার চালিয়েছে পুলিশ। কী করা যাবে, কী করা যাবে না সবই বলেছে পুলিশ। তবুও কোনও হেলদোল নেই সাধারণ মানুষের। ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে শহর কলকাতায়। ফলে পুরসভা, স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুলিশ বৈঠকের পর কনটেনমেন্ট জোন ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করেছে। যদিও কলকাতার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কন্টেনমেন্ট জোনে যে বাড়ি অথবা ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই প্রেমিসেসে কড়া লকডাউনের বিধি চালু থাকবে।
শুধু সেই প্রেমিসিসের বাসিন্দারাই বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। কিন্তু বাকিরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাজ করতে পারবেন। অপরদিকে রাজ্যে সরকারের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কনটেনমেন্ট জোনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত দোকানপাট, অফিস, যানবাহন বন্ধ থাকবে। ফলে একটা ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে। তবুও সচেষ্ট পুলিশ, লকডাউন নিয়ে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback