করোনায় মৃত স্বামীর শেষকৃত্যের পরই ছেলেকে মেরে আত্মঘাতী স্ত্রী


করোনায় আক্রান্ত স্বামীর মৃত্যুর পরই ভেঙে পড়েছিলেন স্ত্রী। হাওড়ার রাজাপুর থানার বাসুদেবপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি যেহেতু করোনার আক্রান্ত ছিলেন, সেহেতু তাঁর দেহ করোনা বিধি মেনে পরিবারের হাতে দেওয়া হয়নি। তবে শেষকৃত্যের সময় নিয়ম মেনে দেহ দেখতে পান স্ত্রী ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য। শেষকৃত্যের পর বাড়ি ফিরে আত্মঘাতী হলেন স্ত্রী, রহস্যমৃত্যু হয়েছে তাঁদের বছর কুড়ির মূক ও বধির ছেলেরও। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার বাসুদেবপুরের বাসিন্দা বছর ছেচল্লিশের ওই ব্যক্তি দিন কয়েক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে প্রথমে উলুবেড়িয়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পড়ে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। নিয়ম মাফিক তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় করোনা পরীক্ষার জন্য। পড়ে সেখানেই তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। ফলে দেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে পুর কর্তপক্ষ দেহ সৎকারের সময় পরিবারের লোকজনকে দেহ দেখতে দেওয়া হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় সেই দেহ সৎকারের পর বাড়ি ফিরে দরজা দেন স্ত্রী। পরে তাঁকে ডাকাডাকি করলেও সাড়া না দেওয়ায় সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙে দেখা যায়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন মৃতের স্ত্রী। পাশের ঘরে মেঝেতে পড়ে মূক ও বধির ছেলে। চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রাজাপুর থানার পুলিশ। দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা। স্বামীর মৃত্যু মেনে নিতে না পেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা সেটা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم