শিশুদের জ্বরের সঙ্গে এই উপসর্গগুলি থাকলেই সাবধান

বর্তমান করোনা মহামারীর জেরে জ্বর হলেই আতঙ্কের শুরু। আর সেটা যদি হয় বাড়ির কনিষ্ঠতম সদস্যদের, তবেই আতঙ্কে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে অনেকের। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ‘হু’ জানিয়েছে করোনা ভাইরাস থেকে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ শিশুরা। কিন্তু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও শিশুদের অন্য বিপদের সম্ভাবনা প্রবল ইদানিং। কী সেটা? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এমআইএস- সি (MIS-3)অর্থাৎ মাল্টিপল সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম ইন চিলড্রেন। যা করোনা সংক্রমিতদের সংস্পর্ষে আসা বাচ্চাদের মধ্যে ছড়াচ্ছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

কী সেই অসুখ?

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বক্তব্য, প্রবল জ্বর, শরীর জুড়ে লাল লাল ছোপ দেখা দিচ্ছে শিশুদের। এটাই মাল্টিপল সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম ইন চিলড্রেন। যা কাওয়াসাকি ডিজিজ (Kawasaki Disease) বলে থাকেন চিকিৎসকরা। এই সমস্ত শিশুদের করোনা পরীক্ষা করালেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। অথচ এই সমস্ত শিশুরা কোনও সময় করোনা আক্রান্তের সংস্পর্ষে এসেছিল। সেখান থেকেই এই করোনা উপসর্গযুক্ত অসুখ ‘এমআইএস-সি’ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। ইউরোপের বহু দেশেই এই রোগ শিশুদের মধ্যে বেড়েছে এই করোনা আবহে। ফলে চিকিৎসা শুরু করার আগে বিভ্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই বাংলাতেও বেশ কয়েকটি কেস সামনে এসেছে বলে জানাচ্ছেন কলকাতার ইনস্টিটিউড অফ চাইল্ড হেলথ-এর চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই ঋতু পরিবর্তনের সময় বাচ্চাদের মধ্যে কাওয়াসাকি ডিজিজের প্রবণতা বেড়ে যায়। তার ওপরে এবার করোনার খাঁড়া রয়েছে। ফলে এই ধরণের অসুখ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে এই বছর। এই অসুখের শুরুতে ১০২ ডিগ্রি বা তারও বেশি জ্বর হয়। তিনদিন বা তাঁরও বেশি সময় ধরে জ্বর চলতে থাকে। ঠোঁট ও চোখ টকটকে লাল হয়ে যায়। তবে চোখ থেকে পিচুটি বের হয়না। শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল র‍্যাশ দেখা যায়। শিশুদের যৌনাঙ্গেও র‍্যাশ বেরোতে পারে। এছাড়া পেটে ব্যথা, বমি ভাব, ডায়ারিয়ার মতো উপসর্গও দেখা যায়। মূলত পাঁচ বছরের কমবয়েসিদের কাওয়াসাকি রোগ হয়। হৃদস্পন্দনের মাত্রা কমে গিয়ে হার্ট ফেলিওর পর্যন্ত হতে পারে। ফলে দ্রুত পরীক্ষা করে চিকিৎসা শুরু না করলেই বিপদ। যেহেতু এই অসুখের সঙ্গে সরাসরি কোভিড-১৯ ভাইরাসের সম্পর্ক রয়েছে, সেহেতু সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা হয়।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم