![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhainFeQovpMD-w1Utyec-yyAL_xexLfzu9luh3xNVrhle6SWs8DoIu01LyVRNXkg1U_H8_M6XKONfjQHna6YP5gwJZe5D5gP1cQWriTlKQnxqgcU5EjHNi0NhmrvFeUz8rdeAp7S-vXQ8/s1600/sc.png)
করোনা মহামারীর জেরে সেই মার্চ মাস থেকে বন্ধ পঠনপাঠন। গোটা দেশেই বন্ধ রয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যদিও পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে অনলাইনেই চলছে পড়াশোনা। এই রাজ্যেও আগস্ট মাসে স্কুল-কলেজ খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই। সেপ্টেম্বরেও স্কুল খুলবে কিনা রয়েছে সন্দেহ। এরমধ্যেই সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের একটি সরকারি স্কুল দিব্যি খুলে গেল। বুধবার নিয়ম মতো ক্লাসও হল, তবে শুধুমাত্র দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারাই স্কুলে এসেছিল। খবরটি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই চরম অস্বস্তিতে পড়ে জেলার স্কুল শিক্ষা দফতর। রাতেই ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সোকজ করা হয়েছে। দাসপুর হাটসরবেড়িয়া বিধানচন্দ্র রায় হাই স্কুল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সাধারণ এই স্কুলই এই করোনা আবহে খবরের শিরোনামে উঠে এল।
![](https://s3-ap-south-1.amazonaws.com/ctvn-bucket/uploads/2020/08/13112159/Screen-Shot-2020-08-13-at-11.15.52-AM-300x183.png)
যেখানে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলছে, সেখানে এই স্কুলেই চলল পঠনপাঠন। দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারা বুধবার স্কুলে এল মাস্ক পড়েই, সামাজিক দুরত্ববিধি মেনেই চলল ক্লাস। শিক্ষকরাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নিলেন। তবুও উঠছে প্রশ্ন, সরকারি নির্দেশিকা না মানা নিয়ে। প্রধান শিক্ষকের সাফাই, ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে অভিভাবকরা নাকি অনেকদিন ধরে স্কুল খোলার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। সেই চাপের মুখে পড়ে স্কুলের পরিচালন কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, স্কুল খুলে শুধু দশম শ্রেণির ক্লাস করানো হোক। ফলে পঠনপাঠন শুরু হতেই বিতর্ক তৈরি হয়। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কাছেও পৌঁছে যায় খবর। তড়িঘড়ি তলব করা হয় জেলার স্কুল ইনস্পেক্টরকে। তিনিও জানিয়ে দেন, স্কুল খোলা নিয়ে কিছুই জানেন না। এরপরই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শোকজের চিঠি পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তাঁকে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback