HIV আক্রান্ত, তাই দেড় মাস মালদা মেডিকেলে বিনা চিকিৎসায় পড়ে যুবক

পেশায় রঙের মিস্ত্রি এক যুবকের পা ভেঙে যায় তিনতলা থেকে পড়ে গিয়ে। মালদা ইংরেজবাজারের বাসিন্দা ওই যুবককে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় নার্সিংহোমে। সেখানেই রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে ওই যুবক এইচআইভি পজিটিভ (HIV Positive)। ফলে এইচআইভি চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই বলে তাঁকে সরকারি হাসপাতালে রেফার করে ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র এইচআইভি পজিটিভ হওয়ায় ওই যুবকের চিকিৎসাই শুরু হয়নি প্রায় দেড়মাস। অভিযোগের তির মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে। ভাঙা পা নিয়ে দেড় মাস হাসপাতালের বেডেই শুয়ে রয়েছেন। ওই যুবকের অভিযোগ, এই দেড়মাসে তাঁর কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি মালদা মেডিকেল কলেজে। ফলে বাধ্য হয়ে ওই যুবকের পরিবার জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আবেদন করেছেন। একই চিঠি মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কাছেও দিয়েছেন। ফলে এই চিঠি পেয়েই নড়েচড়ে বসেন অধ্যক্ষ। কেন ওই যুবকের চিকিৎসা শুরু হয়নি সেটা জানতে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়।
পরিবারের অভিযোগ, এইচআইভি পজিটিভ জানার পরই রোগীর অস্ত্রোপচার করা হয়নি। ফলে কার্যত বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালেই পড়ে রয়েছে রোগী। উল্লেখ্য, গত ২৯ মে ওই যুবক রঙের কাজ করার সময় মালদা শহরে একটি নির্মিয়মান বহুতলের তিনতলা থেকে পড়ে গিয়ে ডান পায়ে আঘাত পান। পুরো ঘটনা জানাজানি হতেই সরব হয়েছে মালদা জেলা বিজেপি। বিজেপির মালদা জেলার সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা, যে সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর চিকিৎসা করছেন না, তাঁদের ওই রোগীর চিকিৎসা করতে হবে। অপরদিকে, মালদা জেলার তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসুও জানিয়ে দিয়েছেন, শাসক দল ও সরকার ওই রোগীর পাশে থাকবে। ওই রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব। বিনা চিকিৎসায় এই রাজ্যে কেউ মারা যাবে না।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم