করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে এমনিতেই টালমাটাল দেশীয় অর্থনীতি। অনিশ্চিত শেয়ারবাজার। ফলে মূল্যবৃদ্ধির ভ্রুকুটি তৈরি হয়েছে বাজারে। খুচরো বাজারে হুহু করে বাড়ছে আনাজপত্রের দাম। একইভাবে মাছ-মাংসের দোকানে গিয়েও পকেটে টান পড়ছে আম জনতার। আর এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ, কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সকলেই চিন্তিত। কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যেখানে মূল্যবৃদ্ধির সূচক ৪ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখতে চাইছে, সেখানে জুলাই মাসেই এই মূল্যবৃদ্ধির সূচক পৌঁছে গিয়েছে ৬.৯৩ শতাংশে। তবে সকলকে অবাক করে এই সময়ে পাইকারি বাজারের দর কমেছে ০.৫৮ শতাংশ।
পরিসংখ্যান বলছে, জুলাই মাসে কাঁচা আনাজের মূল্যবৃদ্ধি ছিল ১১.২৯ শতাংশ, মাছ ও মাংসের মূল্যবৃদ্ধি ছিল ১৮.৮ শতাংশ ও ভোজ্য তেলের ১২.৪১ শতাংশ। ফলে বাজারে গিয়ে হাতে ছেঁকা লাগছে আম জনতার। বেড়েছে ডাল, আলু, পিঁয়াজ ও ফলের দামও। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজকোষের ঘাটতি। চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষের ঘাটতি পৌঁছেছে ৬.৬২ লাখ কোটি টাকায়। যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৩.২ শতাংশ। একদিকে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে সরকারের খরচ দিন দিন বাড়ছে, অন্যদিকে আয়ের পথও প্রায় বন্ধ। রাজস্বের হার নিম্নমুখী। অপরদিকে মূল্যবৃদ্ধির জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগস্টে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখে। বিশেষজ্ঞদের আশা চলতি বছরে হয়ত সুদের হার কমবে না। এদিকে লকডাউনের জেরে লগ্নি কমতে শুরু করেছে শেয়ার নির্ভর ইকুইটি ফান্ডগুলিতে। মার্চে যেখানে লগ্নি এসেছিল ১১,৭২৩ কোটি টাকা, এপ্রিলেই তা কমে দাঁড়ায় ৬৩১৩ কোটিতে। পরবর্তী মে ও জুন মাসে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫২৫৭ ও ২৪৭ কোটি টাকায়। ফলে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছেন আর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback