করোনা মহামারীর জন্য JEE, NEET পরীক্ষা পিছোনোর দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সোনিয়া গান্ধির ডাকা ভার্চুয়াল বিরোধী বৈঠকে তিনি বলেন, বারবার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্র পরীক্ষা পিছোতে নারাজ। এর ফলে ছাত্রছাত্রদের মানসিক চাপ বাড়ছে। গণতন্ত্রের ওপর এত দিক থেকে আক্রমণ আগে দেখা যায়নি। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হোক। তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দুইবার চিঠি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক বলেছেন, পরীক্ষার্থীদের বাবা-মায়েরা অনবরত প্রশ্ন করে গিয়েছেন, কেন কেন্দ্র JEE, NEET পরীক্ষার অনুমতি দিচ্ছিল না। ছাত্রছাত্রীরাও চিন্তিত হয়ে পড়েছিল আদৌ তাঁরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে কিনা তা ভেবে। ৮.৫৮ লক্ষ JEE পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৭.২৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করেছেন। তাঁরা পরীক্ষা দেবেন।
সম্মিলিত বিরোধী ঐক্য গড়তে সোনিয়ার বুধবারের এই বৈঠকে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ছিলেন ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন ও কংগ্রেসের চার মুখ্যমন্ত্রী। হেমন্তও বলেন, ঝাড়খণ্ড প্রচণ্ড আর্থিক অসুবিধার মধ্যে রয়েছে। জ্বালানির দাম, বেকারির চাপে সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। তাঁর যুক্তি, নিট ও জয়েন্ট পরীক্ষা হলে প্রচুর লোক চলাচল হবে। ফলে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা বহুগুণ বাড়বে। এরই পাশাপাশি রাজ্যেগুলির প্রাপ্য জিএসটির অংশের দাবি নিয়েও কথা হয়েছে। এনিয়ে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীরা। বৃহস্পতিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হচ্ছে। কাউন্সিলে সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরাই সদস্য।
মমতা বলেন, এই কঠিন সময়ে বিনামূল্যে সবার জন্য কাজ করার টাকা কোথায় পাওয়া যাবে। নানারকম মেডিকেল জিনিসপত্রের পিছনেই বহু টাকা খরচ হচ্ছে। কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে। বাংলা কেন্দ্রের কাছে ৪১০০ কোটি টাকা পায়। এক পয়সাও দেওয়া হয়নি। উদ্ধব ঠাকরে বলেন, আমেরিকায় স্কুল খোলার পর ৯৭ হাজার পড়ুয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এখানে কী হবে? আপত্তি জানান পাঞ্জাবের মুখ্যমন্চত্রী অমরিন্দর সিংও। বৈঠকে ছিলেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পিনরাই বিজয়ন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback