হনুমানের তাণ্ডবে বাথরুমে বন্দি গোটা পরিবার


বেড়াতে গিয়ে হনুমানের কবলে পড়ে মূল্যবান জিনিস খুইয়েছেন এমন ব্যক্তি নেহাতই কম নয়। আবার হনুমানকে খাবার দিতে গিয়ে কামড় খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এমন মানুষও খুঁজে পাওয়া যায় হামেশাই। কিন্তু বাড়ির মধ্যে ঢুকে হনুমান পুরো পরিবারকে বাথরুমে বন্দি করে রেখেছে এমন ঘটনা নেহাতই কম। কিন্তু সে রকমই ঘটনা ক্যানিংয়ে। ক্যানিং বাজারের মধ্যেই একটি বাড়িতে ঢুকে বৃহস্পতিবার অর্ধেক দিন বাড়ির লোকজনকে বন্ধি করে রাখল বাথরুমের মধ্যেই। বাজারের মধ্যেই নীচে ব্যবসা এবং দোতলা বাড়ির উপরে পরিবার নিয়ে থাকেন সৌমেন রায়। লকডাউন থাকায় দুপুরে বাড়ির মধ্যে ছিলেন পুরো পরিবার। এমন সময় দেখা যায় উপরের খোলা ছাদ দিয়ে নেমে এসেছে একটি হনুমান। প্রথমে শোওয়ার ঘর তারপর রান্নাঘরে গিয়ে চলে হনুমানের তান্ডব। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারিদিকে দুপুরের খাওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করে দেয় পবন পুত্র। তাড়াতে গেলেই ছুটে চলে আসে তাদের দিকে। দাঁত খিচিয়ে লম্ফঝম্পও করতে থাকে এ ঘর থেকেও ঘর। ডাইনিং টেবিল থেকে আসবাবপত্র হনুমানের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে বেশকিছু। হনুমানের এহেন আচরণ দেখে ভয় পেয়ে যান বাড়ির লোকজন। পরে নিজেদের বাঁচাতে সৌমেনবাবু নিজের পরিবার ও মাকে নিয়ে লুকিয়ে পড়েন বাথরুমের মধ্যে। সেখানেই প্রায় সারা দুপুর আটকে থাকেন তারা। অবস্থা এমন যে কাউকে ফোন করে খবর দেবেন সেটুকুও সম্ভব ছিল না। কারণ তাড়াহুড়োর মধ্যে মোবাইল ফোনটিও ঘরে ফেলে যান এই পরিবারের সদস্যরা। পাশেই অবশ্য ছিল মাতলা বনদফতরের অফিস। সেখানেও গিয়ে খবরটুকু দেওয়ার মতো অবস্থা হয়নি এই পরিবারের। তারপর লকডাউন থাকায় লোকজনও ছিল হাতেগোনা। ফলে পুরো পরিবারের সমস্যা কাউকেই জানিয়ে উদ্ধার হতে পারলেন না এই পরিবার। পরে অবশ্য নিজে থেকেই খাওয়াদাওয়া সেরে বাড়ি থেকে চলে যায় এই আগন্তুক অতিথি। এ বিষয়ে বাড়ির বাড়ির মালিক সৌমেন রায় বলেন, দুপুরের দোকানের কাজ সেরে উপরে গিয়ে দেখি হনুমান রান্না ঘরে বসে সবজি খাচ্ছে। তাকে তাড়াতে সে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত দাপাদাপি করতে থাকে। ভয়ে আমরা সকলেই বাথরুমের মধ্যে গিয়ে দরজা আটকে দিই। বেশ অনেক সময় ধরেই হনুমানের অস্তিত্ব আমরা বুঝতে পারি। পরে বিকালের দিকে দরজা খুলে দেখি সে ছাদ দিয়ে বেরিয়ে চলে যাচ্ছে।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم