তিনি লোকসভায় বিরোধী দলনেতা। তিনি অধীররঞ্জন চৌধুরী। ফের তাঁকেই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দাবিত্ব দিলেন সোনিয়া গান্ধি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য অধীরবাবুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হল। দুবছর আগে আচমকাই অধীর চৌধুরীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে সভাপতি করা হয়েছিল। এবার সোমেন মিত্রর মৃত্যুর পর ফের অধীরকেই আনা হল। লক্ষ্য ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করতে রাজনীতির ‘রবিনহুড’-কেই সামনে আনল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। গত লোকসভায় শোচনীয় ফল করেছিল কংগ্রেস। এই রাজ্যেও একদম ভালো পরিস্থিতিতে নেই কংগ্রেস। এই অবস্থায় অধীরের রাজনৈতিক লড়াইকে সামনে রেখেই পায়ের তলার জমি শক্ত করতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধি।
উল্লেখ্য, সোমেন মিত্রের মৃত্যুর একমাস পর অভিভাবক পেল প্রদেশ কংগ্রেস। বুধবার রাত ১১টার পর এক বিবৃতি জারি করে অধীরের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। অপরদিকে দিল্লি যাওয়ার জন্য বহরমপুর থেকে কলকাতায় এসেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। কিন্তু রাতেই খবর পান তাঁর নতুন নিযুক্তির, ফলে কলকাতায় রয়ে গিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় কংগ্রেসের সদর দফতর বিধানভবনেই আনুষ্ঠানিক দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তিনি। রাতেই অধীরবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘আমি কংগ্রেসের সৈনিক। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থা এবং কর্মীদের প্রত্যাশা, দু’টোই পূরণের জন্য চেষ্টার ত্রুটি করব না’। এখন দেখার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোটে যায় নাকি একলা চলো নীতি নিয়ে ভোটে যায়। যদিও বুধবার রাতেই সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী রাতেই অধীরবাবুর নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback