ফের বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। এবারও আরামবাগ। রবিবার সকালে হুগলির আরামবাগের গোঘাট রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে গণেশ রায় বলে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্য বিজেপির দাবি, ওই ব্যক্তি তাঁদের দলের সক্রিয় সদস্য। তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তির অবশ্যই শাসকদলের দিকে। রবিবার ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের পরই গোঘাটে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাটের খানাটি গ্রামে বাড়ি গণেশ রায়ের। শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপরই নিখোঁজ ছিলেন এই বিজেপি কর্মী।
রবিবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিমি দূরে গোঘাট স্টেশনের কাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকালে আরামবাগ–মেদিনীপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিক্ষোভ দেখায় গোঘাট থানা সংলগ্ন এলাকাতেও। বিক্ষোভ হটাতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় বলেও জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতেও দেখা গিয়েছে। অপরদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে থেকে তৃণমূলের লোকজনের কাছ থেকে হুমকি পেতেন গণেশ রায়। পরিকল্পিতভাবেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৃতের ছেলের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই বাবাকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকেও। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ‘তৃণমূলের হিংসার রাজনীতির জেরেই এই ঘটনা। আবারও এক বিজেপি কর্মীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়েই বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি’। যদিও পুরো ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, গণেশ রায় একজন দীনমজুর। বিজেপি এই ঘটনা নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে। গোঘাট থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এটা খুন না আত্মহত্যা সেটা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback