রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম হল জলদাপাড়া অভয়ারণ্য। এতদিন এখানে ঘুরতে আসা পর্যটক ও প্রকৃতিপ্রেমীদের অনেক ঝক্কি নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েই জঙ্গলে প্রবেশের টিকিট কাটতে হত। এমনকী জঙ্গলে হাতি সাফারির বুকিংও হত অফলাইনে। এবার সেই ঝক্কি কমিয়ে দিল রাজ্য সরকার। এবার থেকে অনলাইনেই সমস্ত বুকিং করে নিশ্চিন্তে ঘুরতে যান জলদাপাড়ায়। জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, ‘জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যনের পর্যটক পরিষেবা উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরির কাজ শুরু করেছিলাম। এখন যার সুফল পেতে শুরু করেছেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা’। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের মানুষ ঘরে বসেই জলদাপাড়ার আকর্ষণীয় হাতি সাফারি, কার সাফারি ও বনবাংলো বুকিং করার সুযোগ পাবেন বন দপ্তরের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে।
জনপ্রিয় এই পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের কমপক্ষে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টাও লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হত টিকিট বুকিংয়ের জন্য। এরফলে দালাল চক্রের রমরমা কারবারও শুরু হয়ে গিয়েছিল জলদাপাড়ায়। হাতি সাফারি, কার সাফারি, বনবাংলো বুকিং করতে গিয়ে ঠকতেও হতো পর্যটকদের। অভিযোগ ওঠার পরই নড়েচড়ে বসে রাজ্যের বনদফতর। যদিও করোনা পরিস্থিতির অনেক আগে থেকেই এই অনলাইন ব্যবস্থা চালু করার তোড়জোড় শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় জলদাপাড়া সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। এবার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পর্যটন। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে জলদাপাড়া সহ অন্যান্য জঙ্গল। তাই এবার অনলাইন বুকিং ব্যবস্থা চালু করে দিল রাজ্য সরকার।
বুকিংয়ের জন্য jaldaparanationalpark.org ওয়েবসাইটে লগইন করুন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback