ব্রডস্ট্রিটের বাড়ির শৌচালয় থেকে দেহ উদ্ধার হল বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকরা। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখাও তদন্তে সাহায্য করছে। আপাতত দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরেই বাংলার ফ্যাশন ডিজাইনকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন শর্বরী দত্ত। বিশেষ করে পুরুষদের পোশাকে তাঁর কাজ বেশি প্রশংসিত। বাংলার ঐতিহ্য ধুতিতে প্রথম রঙের ছোঁয়া নিয়ে আসেন তিনি। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে তাই শোকের ছায়া টলিউডের অন্দরে। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে সেরকম কোনও অসুস্থতা ছিলনা শর্বরীদেবীর। তবে অনুমান শৌচালয়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন তিনি। এই কারণেই মৃত্যু কিনা সেটা জানা যাবে ময়নাতদন্তের পর।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শাশুড়ি শর্বরী দত্তকে ফোন করেও পাচ্ছিলেন না পুত্রবধূ। রাতের দিকে তিনি ব্রডস্ট্রিটের বাড়িতে যান খোঁজ নিতে। তখনই তিনি দেখতে পান শৌচালয়ে পড়ে আছে দেহ। কড়েয়া থানায় তিনিই ফোন করে খবর দেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা বৃহস্পতিবার সকালেই মৃত্যু হয়েছে শর্বরীদেবীর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পর ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে হাতেখড়ি হয় তাঁর। মূলত তাঁর হাত ধরেই পুরুষদের পোশাকের সংজ্ঞা বদলে যায় ভারতে। বাংলার ধুতিকেও বিশ্বের দরবারে জনপ্রিয় করেছিলেন তিনি। ‘শূন্য’ নামে একটি সংস্থাও খুলেছিলেন তিনি। তাঁর ডিজাইন করা পোশাকে মিশরীয় সভ্যতা থেকে বিহারের মধুবনী চিত্র সবই ঠাঁই পেয়েছিল।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback