তাক লাগাচ্ছে হাওড়ার বাঙালি গবেষকের তৈরি মানব-রোবট ‘কৃতী’

আধুনিক সভ্যতায় অনেক কিছুই যান্ত্রিক। আর এই করোনা আবহে ছোঁয়াচ এড়াতে যন্ত্রের মাধ্যমেই অনেক কিছু করানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চেন্নাইতে একটি হাসপাতালে মানব-রোবটকে ব্যবহার করে করোনা রোগীদের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। চেন্নাইতেই কন্টেইনমেন্ট জোনগুলি স্যানিটাইজ করার জন্য কাজে লাগানো হয়েছে একই ধরণের রোবট। কোথাও আবার থার্মাল স্ক্রিনিং করানো কখনও বা রেস্তরাঁয় খাবার পরিবেশন করছে মানুষের মতো দেখতে রোবট। অপরদিকে এক কৃতী বাঙালি করোনা আবহেই তৈরি করে ফেললেন মানব-রোবট। যার নামও তিনি রেখেছেন কৃতী। কারণ কৃতী যথার্থই ‘কৃতী’।

 

হাওড়ার মন্দিরতলার বাসিন্দা অতনু ঘোষ, দীর্ঘ সময় ধরে নানা ধরনের গবেষণায় নিজেকে নিযুক্ত করেছেন। শুধু মানব-রোবট কৃতীকেই তৈরি করেননি এই বঙ্গসন্তান, ১৯৭৯ সালেই ভারতের প্রথম ওয়ার্কিং রোবট তৈরি করেছেন অতুন ঘোষ। ১৯৭৬ সালে পালস কাউন্টার তৈরি করেছিলেন। এবার করোনার সঙ্গে লড়াই করতে এই নতুন রোবটটি তৈরি করে ফেললেন মাত্র ৪৫ দিনের প্রচেষ্টায়। এর চেয়ে কম সময়েই তিনি এটি করতে পারতেন, কিন্তু লকডাউনের জন্য বেশ কয়েকটি যন্ত্র ও রোবটের বর্ম তিনি সময়মতো হাতে পাননি।

এই রোবটটি তৈরি করতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। ফলে করোনা হাসপাতালগুলিতে কৃতীকে কাজে লাগিয়ে রোগীদের দেখভাল করানো আরও সহজ হবে। কৃতী শুধু থার্মাল স্ক্রিনিং করবে তা নয়। প্রয়োজনে ওষুধ ও খাবার পরিবেশন করে দিতে পারবে অনায়াসে। কৃতীর বুকে লাগানো হয়েছে একটি মনিটর। এই মনিটরের মাধ্যমে রোগী সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন ভিডিও কলিংয়ের সাহায্যে। ভবিষ্যতে দেশের সুরক্ষার জন্য আরও উন্নত মানের কোনো রোবটিক যন্ত্র তৈরি করার ভাবনায় রয়েছেন হাওড়ার অতনু ঘোষ।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم