বাগুইআটির বাসিন্দা ব্যবসায়ী কুশল দাস। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে ফেসবুকে এক মহিলার আপাল হয়। এরপর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ক্রমশ। ওই মহিলার কথায় ভুলে অতীব লাভজনক ব্যবসায় মোটা লগ্নি করেন তিনি। ধাপে ধাপে ৮২ লাখ টাকা দেওয়ার পরই ওই ব্যবসায়ী জানতে পারেন কোনও মহিলা নয়। বরং দুই বিদেশি নাগরিকের পাল্লায় পড়ে সর্বসান্ত হয়েছেন তিনি। দুজনেই পুরুষ এবং একজন নাইজেরীয় অপরজন আইভরি কোস্টের নাগরিক।
ওই ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগ তদন্তে নামে। এরপরই বুধবার বেঙ্গালুরু থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেদিনই তাঁদের স্থানীয় আদালতে হাজির করে নিজেদের রিমান্ডে নেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পরদিনই তাঁদের কলকাতায় উড়িয়ে আনা হয়। শুক্রবার ডোনাস আর্নল্ড প্যাট্রিক ও বেক আসরো নামে ধৃত দুই বিদেশী নাগরিককে বিধাননগর আদালতে হাজির করায় পুলিশ। গোয়েন্দাদের অনুমান, ধৃতরা অনলাইন প্রতারণা চক্র নাইজেরিয়ান গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাং ইদানিং কলকাতা ও আশেপাশের এলাকায় অনলাইন প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে। বেশ কয়েকটি অভিযোগের তদন্তে নেমে এই গ্যাংয়ের হদিশ আগেই পেয়েছিল পুলিশ। তবে এবারই প্রথম কোনও সদস্যকে গ্রেফতার করা সম্ভব হল। মূলত ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে সুন্দরী মহিলার ছবির টোপ দিয়ে ‘হানিট্র্যাপ’ তৈরি করেই এই চক্র ব্যবসায়ী বা ধনীদের ফাঁদে ফেলে। এরপর আড়াল থেকে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে নানান টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় এই নাইজেরিয়ান গ্যাং। আর এই ধরনের ফাঁদে পড়েই নির্মাণ ব্যবসায়ী কুশল দাস ৮২ লাখ টাকা খুইয়েছেন।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback