সিএএ ও এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিস্তৃর্ণ এলাকায়। আর এই দিল্লি হিংসার পিছনে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত ছিল বলে আগেই দাবি করেছিল দিল্লি পুলিশ। এবার সেই মামলার চার্জশিট পেশ করল দিল্লি পুলিশ। চার্জশিটে নাম উঠে এল সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়াচুরির। পাশাপাশি নাম রয়েছে ‘স্বরাজ’ নেতা যোগেন্দ্র যাদব, শিক্ষাবিদ জয়তী ঘোষ এবং অপূর্বানন্দ। জয়তীদেবী জেএনইউ এবং অপূর্বানন্দ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। দিল্লি পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের জেরা করে উঠে এসেছে সীতারামদের নাম। ধৃত কয়েকজন ছাত্রীদের বয়ানেই উঠে এসেছে সিপিএম নেতা সহ অধ্যাপকদের নাম।
তাঁরাই সিএএ ও নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীতায় হিংসা ছড়ানোর উসকানি দিয়েছিলেন বলে ধৃতদের বয়ানে উঠে আসে বলে দাবি দিল্লি পুলিশের। যদিও চার্জশিট মানেই ‘অভিযুক্ত’ প্রমাণ হয় না বলে অভিমত দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। তাঁদের পাল্টা দাবি, এই চার্জশিটের পিছনে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাত রয়েছে। কারণ দিল্লি পুলিশ সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে রয়েছে। চার্জশিটে নাম থাকা প্রসঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, ‘এটা বিজেপির শক্তি প্রদর্শন’। কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘যাঁদের চার্জশিটে নাম রয়েছে, তাঁদের পাশে রয়েছি। এখন যে সব প্রতারকেরা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাঁদের থেকে এঁরা অনেক বেশি দেশভক্ত’। যদিও দিল্লি পুলিশ শনিবার এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ‘নিয়ম মেনেই ছাত্রীদের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। নিয়ম মেনেই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। পরে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পেলে এঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback