পেয়ারাকে অনেকেই আদর করে বলেন বাংলার আপেল। এই পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর ভিটামিন এ। এছাড়া অন্য ফল যেমন একটি কমলালেবু থেকে প্রায় ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি আর একটি লেবু থেকে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ পাওয়া যায় একটি পেয়ারা থেকে। এসব ভিটামিনের পাশাপাশি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি-২ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পেয়ারাতে। ফলে রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে পেয়ারার জুড়ি মেলা ভার। আর এই করোনা আবহে শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে পেয়ারার বিকল্প খুব কমই আছে।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসের এ সময়ে যখন শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখন পেয়ারা হতে পারে ইমিউনিটি বুস্টের ভালো একটি মাধ্যম। এছাড়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও পেয়ারা বেশ কার্যকর। ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস সারিয়ে তুলতেও পেয়ারা বেশ উপকারী। এক্ষেত্রে কাঁচা পেয়ারা ঠান্ডা, কাশি সারিয়ে তুলতে বেশি সহায়ক।
প্রতিদিনের নানা কাজের ব্যস্ততায় আর বর্তমান মহামারীর এ সময়ে খাবারের তালিকায় পরিবর্তন জরুরি। তেলজাতীয় খাবার এ সময় এড়িয়ে চলা যেমন প্রয়োজন তেমনি খাবারের তালিকাতে পুষ্টিকর খাবার রাখাও দরকার। তাই মরসুমি ফল হিসেবে পেয়ারা রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। এতে করে শরীরের কার্যক্ষমতা খুব সহজেই বৃদ্ধি করতে পারেন রোগ প্রতিরোধ করতে যাতে করোনা সময়েও আপনি থাকতে পারেন সুস্থ আর প্রাণবন্ত।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback