লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বিমান চলাচল। এরপর আনলক পর্বে অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচলের অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। করোনা আবহেই নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ মেনেই যাত্রীরা বিমানে উঠতে পারছেন। এই সময় কলকাতা বিমানবন্দরেও চালু হয় বিমান চলাচল। কিন্তু রাজ্য সরকারের আবেদনে দিল্লি-মুম্বই সহ ছটি শহর থেকে বিমান ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই ছটি রাজ্যে করোনার প্রকোপ বেশি থাকায় বিমান যাতায়াতে আপত্তি জানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ফলে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায় যাত্রী সংখ্যা।
এর ওপর সাপ্তাহিক লকডাউনের জেরেও বিঘ্নিত হয় বিমান চলাচল। ফলে দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরের তুলনায় কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা ছিল নগন্যই। তবে ৬ আগস্ট অর্থাৎ রবিবার সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ যাত্রী যাতায়াত করলেন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে। যা এই লকডাউন পরবর্তী পর্যায়ে সর্বোচ্চ বলেই জানা গিয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার এই শহর থেকে মোট ২৮ হাজার ৭৭ জন যাত্রী যাতায়াত করেছেন বিমানে। এরমধ্যে অন্যান্য রাজ্য থেকে কলকাতায় নেমেছেন ১১ হাজার ৭২৭ জন। আর কলকাতা থেকে দেশের অন্যান্য শহরে উড়ে গিয়েছেন ১৬ হাজার ৩৫০ জন।
যদিও স্বাভাবিক সময়ে কলকাতায় প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। লকডাউন পর্ব চলার আগে করোনা আবহে কলকাতা বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা কমেছিল। তারপর লকডাউন পর্বের মধ্যে বিমান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে ব্যবস্থাপনা করা একটা চ্যালেঞ্জ বলেই জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। তাঁরা মনে করছেন আগামী দিনে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে। কারণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ভিনরাজ্যে কাজের জন্য যেতে শুরু করেছেন মানুষ। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীর ভিড় চিন্তা আরও বাড়াতে পারে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback