বাইরে কৃষকদের বিক্ষোভ, সংসদের ভিতরে কৃষিবিলের তীব্র বিরোধিতা। রবিবার সকাল থেকেই সরগরম সংসদ। উত্তপ্ত বিতর্কের মধ্যেই ওয়েলের মধ্যে ঢুকে পড়েন বিরোধী সাংসদরা। তৃণমূলের ডেরেক ওব্রায়েন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশের কাছে গিয়ে তাঁকে রুল বই দেখানা। তাঁর অভিযোগ, সংসদের সব নিয়ম ভাঙা হয়েছে। দেশের লোক যাতে জানতে না পারে সেজন্য রাজ্যসভা টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা স্লোগান দিতে থাকেন। ডেপুটি চেয়ারম্যানের মাইকও কাড়ার চেষ্টা হয়। বাধ্য হয়েই অধিবেশন দশ মিনিটের জন্য মুলতুবি করতে হয়। তারই মধ্যে ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় দুটি বিল। এরপর সভা সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায়।
অন্যদিকে, রাজধানী। হরিয়ানার কৃষকরা পথ অবরোধ করছেন সকাল থেকেই। ১৭টি কৃষক সংগঠন এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। বিশেষ সতর্কতা নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। বিলের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিরোমনি অকালি দলের হরসিমরত কাউর পদত্যাগ করেছেন। এদিন বিল তিনটি রাজ্যসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। তাঁর দাবি, যুগান্তকারী এই বিলে চাষিদের জীবন বদলে যাবে। তৃণমূলের ডেরেক ওব্রায়েন বলেন, মোদির প্রতিশ্রুতি অর্থহীন। কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ হয়নি। অকালি দলের নরেশ গুজরাল দাবি করেন, বিলগুলি সিলেক্ট কমিটিতে আলোচনার জন্য পাঠানো হোক। কংগ্রেসের তরফেও এই কৃষকবিরোধী ও কর্পোরেটদের খুশি করার বিলের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। শিবসেনা বিলগুলি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর কথা বলেছে। কারও সঙ্গে কথা না বলে এত তাড়াহুড়ো করে বিল পাশ কারতে হচ্ছে কেন, প্রশ্ন সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদবের। ডিএমকের মতে, এই বিলে কৃষকরা ক্রীতদাস হয়ে যাবেন। এনডিএ জোটসঙ্গী অকালি দলের আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় বিলগুলি পাশ হয়েছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback