তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে ফের উত্তপ্ত দেগঙ্গা, রাতভর চলল গুলি-বোমা

ফের উত্তপ্ত দেগঙ্গা। শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল, এর জেরে মারধর, দোকান, দলীয় পার্টি অফিস ভাঙচুর, গুলি, বোমাবাজি সহ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছেঁড়ার অভিযোগে উত্তাল হল এলাকা। বিধায়ক রহিমা মণ্ডল বনাম পঞ্চায়েত সভাপতি মফিদুল হক। মূলত তৃণমূলের এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই ঝামেলায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গায়। বৃহস্পতিবার রাতভর চলে তাণ্ডব। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় দুই পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালেও এলাকা থমথমে। এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশবাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই রহিমা মণ্ডলের অনুগামীদের সঙ্গে দেগঙ্গা ব্লক সভাপতি মফিদুল হকের অনুগামীদের মধ্যে গোলমাল চলছিল। এবার সেটা প্রকাশ্যে চলে এল। দেগঙ্গা চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বুধবার রাতেও শাসক দলের দুই গোষ্ঠী গণ্ডগোল হয়েছিল। তারই রেশ ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে আমফানের ক্ষতিপূরণ পেতে বিধায়কের কার্যালয়ে ভিড় করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোলমালের সূত্রপাত এখান থেকেই। অভিযোগ, তৃণমূল নেত্রীর ছবি ও পোস্টার ছেঁড়া হয়। এরপরই এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর ওপর চড়াও হলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। রাতের দিকে শুরু হয় বোমাবাজি, এমনকি গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। তৃণমূলের কয়েকটি পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
অশান্তির জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে গভীর রাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বিধায়ক রহিমা মন্ডলের দাবি, পুরো বিষয়টি দলকে জানানো হয়েছে, দলই এর ব্যবস্থা নেবে। এর আগে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে বারেবারে দলীয় কর্মী-নেতাদের সতর্ক করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও বিভিন্ন জেলায় থামেনি গোষ্ঠী কোন্দল। উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যেই চলে আসছে। দেগঙ্গার ঘটনা নিয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

Post a Comment

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم