মাঝখানে প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হয়েছে, লকডাউনের গেরোয় চাকা গড়ায়নি মেট্রো রেলের। অবশেষে আনলক-৪ পর্বে কাটল বাঁধন। সোমবার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল কলকাতা মেট্রোর দরজা। যদিও রবিবার সুরক্ষাবিধি মেনে NEET পরীক্ষার্থীদের জন্য কয়েকঘন্টা চালু ছিল মেট্রো। মেট্রো কর্তাদের কথায়, সেটা ছিল পরীক্ষা দৌঁড়। আজ থেকে শুরু আসল পরীক্ষা। নিউ নর্মালে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা। আর এই সময়ের মধ্যে যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে, ভিড় নিয়ন্ত্রন করেই চালাতে হবে মেট্রো।
অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি মেট্রো স্টেশন ও প্ল্যাটফর্মে থাকছে মেট্রো কর্মীরাও। ঘনঘন প্ল্যাটফর্ম চত্বর ও প্রবেশ ও বাহির পথ স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। আর নিউ নর্মালে সবচেয়ে বড় চমক হল আগাম বুকিংয়ের ব্যবস্থা। থার্মাল গান দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দেখে, স্মার্ট কার্ড ও আগাম বুকিংয়ের পাস দেখেই স্টেশনে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা। বসার জায়গা, এসক্যালেটরের হাতল, লিফটের বোতাম-সহ যে সব জায়গায় যাত্রীদের হাত পড়ে, সে সবও ঘন ঘন স্যানিটাইজ করছেন মেট্রোর সাফাইকর্মীরা।
যাত্রীরা আগাম বুক করা ই-পাস দেখিয়ে থার্মাল স্ক্যানিংয়ের পরই যাত্রীরা যেতে পেরেছেন কাউন্টারের দিকে। সেখানে দেওয়ালে ঝোলানো রয়েছে স্যানিটাইজার। নীচে হাত পাতলেই জীবাণুনাশক স্প্রে বেরিয়ে আসছে। কাউন্টারে প্রয়োজন হলে স্মার্ট কার্ড রিচার্জের পর যাত্রী যাচ্ছেন প্ল্যাটফর্মের দিকে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই অপেক্ষা এবং ট্রেনে উঠতে হচ্ছে। আসনে বসার জায়গাও চিহ্নিত করা রয়েছে। প্রতি কামরায় ৩৪ জন দাঁড়াতে পারছেন যথাযথ দূরত্ব মেনে। ফলে এদিন পরিষেবা শুরু হলেও চেনা ভিড় উধাও মেট্রোগুলিতে। আগেভাগে টিকিট বুক করায় নির্দিষ্ট যাত্রী নিয়েই ছুটছে ট্রেন। করোনা আবহে কি সাবালক হল কলকাতা মেট্রো? উত্তরটা সময়ই বলবে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback