দীর্ঘ লকডাউন পর্ব পার করে আনলক পর্ব শুরু হয়েছে ভারতে। বর্তমানে চলছে আনলক-৪ পর্ব। ধীরে ধীরে বাস, ট্যাক্সির মতো গণপরিবহনের কয়েকটি মাধ্যম চালু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি মেট্রোরেল চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বন্ধ লোকাল ট্রেন। কবে চালু হবে লোকাল ট্রেন সেটা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। তবে বৃহস্পতিবার এই ব্যপারে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব। বৃহস্পতিবারই রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা।
সেখানেই রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, ‘সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার প্রস্তুত থাকলে আমরা শহরতলিতে রেল পরিষেবা পুনরায় চালু করার কথা বিবেচনা করব। এই মুহূর্তে আমাদের করোনা সংক্রমণ অনেকটা কমিয়ে আনতে হবে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেলেই পুনরায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার পদ্ধতির ওপর কাজ করব। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে আমাদের জানাতে হবে’। পশ্চিমবঙ্গ নিয়েও তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন এদিন। হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে দ্রুত লোকাল ট্রেন চালু করার দাবি উঠছে। তবে ভি কে যাদব এও বলেন, সরকারের প্রধান লক্ষ্য হল করোনার প্রকোপ আগে কমানো। কিন্তু ধীরে ধীরে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার প্রস্তুতি শুরু করেছে রেলমন্ত্রক।
রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান এই প্রসঙ্গে জানালেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আমরা সর্বক্ষণ যোগাযোগ রেখে চলেছি। তবে ওই রাজ্যে প্রায়শই লকডাউন করা হচ্ছে। আগের মাসে পশ্চিমবঙ্গমুখী কিছু স্পেশ্যাল ট্রেনের পরিষেবাও বন্ধ রাখতে হয়েছিল। যদিও কলকাতায় মেট্রো পরিষেবা ফের চালু হয়েছে। আমরা এখন সরকারের সঙ্গে লোকাল ট্রেন চালু করার বিষয়ে আলোচনা করছি’। উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিভিন্ন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন লোকাল ট্রেন চালু করুক রেল, প্রয়োজনে রাজ্য প্রশাসন সাহায্য করবে। রাজ্যের তরফে রেলবোর্ডকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। লোকাল ট্রেন চালানোর মূল সমস্যা ভিড় নিয়ন্ত্রন করা। এই ব্যপারটি নিয়েই আলোচনা চলছে রাজ্য ও রেলের মধ্যে। ফলে আশা করা যায় সমস্যা কাটিয়ে আগামী মাসের গোড়াতেই লোকাল ট্রেন চালু করে দেওয়া হতে পারে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback