গরুপাচার তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য!

 

রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় গত দুদিন আগে গরু পাচারকারীর পান্ডা এনামুল হকের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। সেখান থেকে উঠে এসেছে বিভিন্ন ধরনের তথ্য। এনামুল হক হাত পাকিয়ে ছিল হিরোইনের ব্যবসা দিয়ে। তারপর অর্থের লোভে শুরু করে গরু পাচারের কাজ। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর টাকার জোরে সে বেরিয়ে আসে এবং পরে বিদেশে চলে যায়। সেখান থেকেই ভাগ্নের মাধ্যমে পরিচালনা করত ব্যবসা। গত কয়েক বছর আগে বিদেশে থাকার সময় এনামুল হকের সব ধরনের দুর্নীতিগ্রস্থ কাজ দেখাশোনা করত তারই ভাগ্নে মোঃ হুমায়ুন কোবীর (পিন্টু)। পরবর্তীকালে এনামুল হকের ভাগ্নেদের সঙ্গে গন্ডগোল হবার কারণে আলাদা হয়ে যায় মামা-ভাগ্নে। তিন ভাগ্নে মিলে শুরু করে জে.এইচ এম নামে একটি কোম্পানি. এই কোম্পানি পরিচালনা করত মোঃ হুমায়ুন কবির (পিন্টু)। ২০১৮ সালে এই কোম্পানির মিলের উদ্বোধনে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের অনেক নেতা মন্ত্রীকে। এনামুলের ভাগ্নেরা ভারত ছাড়াও বিদেশে ছড়িয়েছে তাদের ব্যবসা। কিন্তু প্রশ্ন, এত টাকা তারা পেল কোথা থেকে? প্রাণের ভয়ে প্রকাশ্যে না এলেও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্থানীয় কিছু পঞ্চায়েত নেতাকে হাতে রেখেছিলেন এনামুল। এনামুল হক কালো টাকাকে সাদা করার জন্য অনেক প্রোমোটারকে টাকা দিতেন এবং অনেক জমিজায়গা কিনে রাখতেন তার পরিবারের লোকজনের নাম ছাড়াও ভাগ্নেদের নামে । পরে সেই টাকার অংশ বুঝে নিতেন। এমনকী মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনিভাবে কয়লা, বালি, পাথরের টাকা তুলতেন প্যাডের মাধ্যমে। এই ব্যবসা এখনও সচল। অন্যদিকে, গরুপাচার তদন্তে নেমে এবার মধ্য কলকাতার একটি রেস্তোরাঁ-কফিশপে নজর পড়েছে সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের। সেই রেস্তরাঁয়া এনামুল হক ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে কথা বলত। সেই কফিশপের মালিক-কর্মচারীদেরও ডাকা হবে বলে জানা যাচ্ছে। দেখা হবে সিসিটিভি ফুটেজ।

1 تعليقات

Thank You for your important feedback

  1. কয়েক দিন একটু হৈচৈ হবে। তারপর "যে কে সেই"। আমি অতি সাধারণ গ্ৰাম্য কৃষক-সন্তান। আমার কথা আপনারা সবাই বিশ্বাস করবেন না, জানি। তবুও বলছি :- আংরাইল , উঃ চব্বিশ পরগনা দিয়ে প্রতি দিন প্রায় দশ হাজার গরু পাচার হতে দেখেছি। রাতে ওদের দৌরাত্ম্যে ঘুমাতে পারতাম না। এক এক টা গরু পার করতে স্থানীয় শ্রমিক কে পাঁচ শো টাকা দেয়া হতো। এতে অনেক বিএসএফ জোয়ান, অফিসার, স্থানীয় নেতা,দালাল, স্থানীয় লোকজন সহ বড় বড় মন্ত্রী ও যুক্ত থাকতো ( আছে ও)। গরু গুলোর গায়ে লেখা থাকতো গফ্ফার, সুলেমান,খালেক ইত্যাদি। দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা এ কুকর্ম চলতে থাকতো। দূর দূর থেকে গরুগুলো আনা হতো। হয়তো পনর দিন ওরা কিছু খেতেই পেত না। শারীরিক দুর্বলতায় বহু গরু কে জলে ডুবে (পাড় হতে সময়) মরতে দেখেছি। আন্তর্জাতীক সীমান্তে প্রতি তিনশো বা চার শো মিটারে দুই বা ততোধিক সসস্ত্র জোয়ান চব্বিশ ঘন্টা অতন্দ্র দাঁড়িয়ে থাকে। তাহলে
    এতবড় কান্ড নেতা,মন্ত্রী, অফিসারের সম্মতি ছাড়া হতে পারে? তবে হ্যাঁ, ভালো অফিসার, জোয়ান ও দেখেছি। তারা সত্যি সত্যি ই দেশের জন্য জীবন দিতে ও পিছু হটে না। একথা সত্য যে বিএসএফের ঋণ শোধ করা যাবে না। ওরা ঘর পরিবার ছেড়ে চব্বিশ ঘন্টা অতন্দ্র প্রহরী হয়ে বর্ষা,শীত,গরম উপেক্ষা করে রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে না থাকলে শত্রু আমাদের বাঁচতে দিতো না। আজ এ কুকর্ম অনেক কমেছে।তবে বন্ধ হয়নি। যে যা ই করুক সবাই সচেষ্ট না হলে (বিশেষ করে প্রশাসন)এটা বন্ধ হবে ও না। নোট :-- সমগ্ৰ আন্তর্জাতিক সীমান্তে (বাংলাদেশ) কমবেশী এ কুকর্ম চললেও আমার দেখা কিছু জায়গার উল্লেখ করছি :- (মালদা) সাপমারি,বটতলি,খুটাদহ,শোনঘাট,পান্নাপুর,আদাডাঙা,পার্বতীডাঙা এবং (উঃ চব্বিশ পরগনা) ট্যাঙরা, বনগাঁ,আংরাইল, ঝাউডাঙ্গা, পাঁচপোতা, বেড়ী গোপালপুর। অযাচিত ভাবে কারুর মনে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাচ্ছি।

    ردحذف

إرسال تعليق

Thank You for your important feedback

أحدث أقدم