জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে ধরা পড়া ৯ আল-কায়দা জঙ্গিকে জেরা করে বিস্ফোরক সব তথ্য উঠে আসছে। আপাতত জানা যাচ্ছে আরও ২ জঙ্গির নাম উঠে এসেছে জেরায়। এরমধ্যে একজন দেশে আল-কায়দা মডিউলের অন্যতম শীর্ষ সদস্য। এনআইএ সূত্রে জানা যাচ্ছে তাঁর নাম আনসারি, বাড়ি মুর্শিদাবাদেই। ধৃতদের মোবাইল ঘেঁটে ‘গজবাওয়া এ তুল হিন্দ’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সন্ধান পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
এই গ্রুপেই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখত তারা। এই গ্রুপের মাধ্যমেই অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিত আনসারি। নিজেদের মধ্যে সাংকেতিক ভাষায় কথা বলত তারা। এছাড়া ওই গ্রুপে কাশ্মীরের একাধিক জায়গার ছবিও পেয়েছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। ধৃতদের সোমবারই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছে এনআইএ। সোমবারই মুর্শিদাবাদে ধৃত ৬ জন ও কেরলে ধৃত ৩ জনকে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারেন এনআইএ গোয়েন্দারা।
এনআইএ সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, ধৃতদের জেরা করে আল-কায়দার ভারতীয় মডিউলের কেরল-বাংলা মডেলের একটা চিত্র উঠে আসছে। এই মডিউলের কয়েকজন সদস্য এর আগে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন বলেও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের জেরা করে গোয়েন্দারা মালদা জেলার একাধিক সদস্যের নামও জানতে পেরেছেন। তাঁদের ওপরও নজরদারি শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই তল্লাশি শুরু করবেন এনআইএ গোয়েন্দা। এই দুই জেলা ছাড়াও বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুর ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও জঙ্গি-জাল ছড়িয়েছে। পাশাপাশি ধৃতদের মধ্যে কালাম, লিউ ইয়ান আহমেদ, আতিউর রহমান, নাজমুস সাকিবের বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ ছিল বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback