করোনার কোপে দীর্ঘদিন বন্ধ পর্যটন ব্যবসা। করোনার জেরে কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় হাঁসফাঁস অবস্থা ভ্রমণপিপাসু বাঙালির। পর্যটকদের কাছে অতি প্রিয় জায়গা দার্জিলিং। সেখানেও বন্ধ রাখা হয়েছিল হোটেল-রেস্তরাঁ। কার্যত শিকেয় উঠেছিল পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসাও। এবার পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের জন্য খুশির খবর। পাহাড়ে হোটেল ও রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি দিল রাজ্য প্রশাসন। তবে এখনই কনটেন্টমেন্ট জোনগুলিতে কোনও হোটেল বা রেস্তরাঁ খোলা যাবেনা বলেও জানিয়েছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। দার্জিলিং হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুলমবালন। তাতে জানানো হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে দার্জিলিং, মিরিক, কার্শিয়াংয়ের হোটেল, রেস্তোরাঁগুলি খোলা যাবে।
তবে কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে থাকা হোটেল, রেস্তোরাঁগুলি আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। একই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা ও দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপারকেও। ফলে খুশির হাওয়া দার্জিলিংয়ে। দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটন ব্যবসা বন্ধ দার্জিলিংয়ে। ফলে কার্যত বেকার কয়েক হাজার হোটেল কর্মী থেকে শুরু করে গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত চালক ও কর্মীরা। সামনেই পর্যটনের ভরা মরশুম। পুজোর শুরু থেকেই লক্ষাধিক পর্যটকের ভিড় হয় দার্জিলিং, মিরিক, কার্শিয়াং সহ পাহাড়ের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে।
কিন্তু করোনা আবহে কী আদৌ এবার পর্যটক সমাগম হবে? এই চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছিল পাহাড়বাসীর। কারণ পাহাড়ের অধিকাংশ মানুষই পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। এই নিয়ে দুবার জিটিএ বৈঠক করে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং–এর হোটেল, হোমস্টে মালিক ও পরিবহণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। সেখানেই দাবি ওঠে নির্দিষ্ট সুরক্ষাবিধি মেনে চালু করে দেওয়া হোক হোটেল ও হোম-স্টে। রাজ্য প্রশাসনের কাছেও এই দাবিতে দরবার করেছে সংগঠন। অবশেষে পাহাড়বাসীকে আস্বস্ত করে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল পাহাড়ের দরজা।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback