দুপুরের খাওয়া হোক বা রাতে, বাঙালির পাতে পোস্তের কোনও পদ পাওয়াই যায়। ওপার বাংলা থেকে এসেছিল কচুর লতি, এ বাংলায় পোস্ত। এ নিয়ে কম খুনসুটি হয়নি। অনেকটা যেন ইস্ট-মোহনের লড়াই। কিন্তু আজকের দিনে ঘটিরা যেমন লতি খেতে শিখেছে, বাঙালরা তেমন পোস্ত। আজ করোনা আবহে মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে প্রবলভাবে। তাই লকডাউনে নিরামিষ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে অর্থসঙ্কটে থাকা বঙ্গ সমাজের। কিন্তু খাবে কী? আলু থেকে সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। ছিল এক পোস্ত। তার দামও ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা প্রতি কেজি।
তাই পোস্তও ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যাচ্ছে বাঙালির পাত থেকে। আর পোস্ত পাত থেকে চলে যাওয়া মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না বঙ্গবাসী। এই পোস্ত উৎপাদন হয় উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যেগুলিতে। বাংলায় চাষের সুবিধা বা অনুমতি নেই সেভাবে। কারণ বলা হয়েছে যে পোস্তর খোলা থেকে নেশার সামগ্রী (আফিম) তৈরী হয়। যদিও গতবছর বর্ধমানের এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন পোস্ত চাষের। কিন্তু কেন্দ্রীয় অনুমতি পাওয়া যায়নি এখনও। অনুমতি আদৌ কবে আসবে সেটাও বিশ বাও জলে। আজ তাই পোস্ত বাঙালির পাত থেকে সিনেমার পর্দায় চলে গেছে।
إرسال تعليق
Thank You for your important feedback